নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ এপ্রিল, ২০১৯

জাতিসংঘকে বাংলাদেশ

সবার কর্মসংস্থানে জোর দেওয়া হচ্ছে

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, সকলের জন্য সম্মানজনক কাজ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার জোর দিয়েছে। জাতিসংঘ সদর দফতরে ১১ এপ্রিল ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘কাজের ভবিষ্যৎ’ বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের সভায় তিনি এ কথা বলেন। গতকাল ঢাকায় পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মারিয়া ফার্নান্দা এস্পিনোসা গার্সেজ আইএলওর শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষায়িত এ অধিবেশন আহ্বান করেন। এতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনি গুতেরেজ এবং আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে সদস্য দেশসমূহের মন্ত্রী, রাষ্ট্রদূত, প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়নের ও মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বিশ্বে সামাজিক ন্যায়বিচার সৃষ্টির ক্ষেত্রে আইএলওর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি বাংলাদেশের শ্রম আইনের মূলনীতি তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত এবং সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা আমাদের জাতীয় শ্রমনীতিতে প্রতিভাত হয়েছে। কাজের অনানুষ্ঠানিকতা হ্রাস, ভালো মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই আমরা আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা, নীতি ও পদক্ষেপগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

মাসুদ বিন মোমেন উল্লেখ করেন বর্তমান সরকার তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করছে এবং নারী, প্রতিবন্ধী, অরক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজের অধিক সুযোগ সৃষ্টিতেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১০০ নতুন বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি সরকার এসএমই খাতকেও উৎসাহিত করছে; যাতে বিশেষ করে নারী ও যুবদের জন্য সম্মানজনক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কর্মসৃজনের ভবিষ্যৎ প্ল্যাটফরম হিসেবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close