স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা হবে। তিনি মাদকের গডফাদার ও মাদক কারবারিদের সুপথে আসতে বলেছেন, নাহলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। তিনি বলেন, মাদকের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকের ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালন করছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নাপিতের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গতকাল রোববার মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এজন্য বনদস্যু, জলদস্যুসহ বিভিন্ন নামে যে দুর্বৃত্তরা সমাজবিরোধী কর্মকা- করছে তাদের অবশ্যই নির্মূল করা হবে। মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের ভালো হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তারা ভালো না হলে অবশ্যই পুলিশ তাদের নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশ নজির স্থাপন করেছে। তিনি এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহযোগিতার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা ও গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে এলাকার ২০ জন মাদক কারবারি এবং ৫০ জন মাদকাসক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ফুলছড়ি থানার তিন তলা নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়ায় জনগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি ভবন নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেন। এদিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গাইবান্ধার পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে জেলার বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।

"