আদালত প্রতিবেদক

  ১৫ মার্চ, ২০১৯

দুই যুবলীগ নেতা হত্যায় আটকাল রানার জামিন

দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় পাওয়া জামিন স্থগিত হলো সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এ স্থগিতাদেশ দেন। এ সময় আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এর আগে দুই যুবলীগ নেতা হত্যায় হাইকোর্ট আওয়ামী লীগের সাবেক এ এমপিকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিলেন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে অন্য এক মামলায় জামিন স্থগিত হওয়ায় রানার কারামুক্তি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

এর আগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা আমানুরের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।

পরে ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৮ মে আমানুর রহমান খান রানাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত। এরপর এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রানা। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ মার্চ রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close