প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ মার্চ, ২০১৯

বছরে ৩০ লাখ টন প্লাস্টিক উৎপাদন কোকা-কোলার

প্রথমবারের মতো নিজেদের বার্ষিক প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ নিয়ে স্বীকারোক্তি দিল কোমল পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোকা-কোলা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বছরে ৩০ লাখ টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে তারা। মিনিটে উৎপাদন করা হয় ২ লাখ বোতল।

সামুদ্রিক প্রাণীকে বিষাক্ত ও আহত করার পাশাপাশি খাদ্য পণ্যে প্লাস্টিকের সর্বব্যাপী উপস্থিতি মানুষের হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটি জীবন শঙ্কাকারী নানা রোগ ও আগাম বয়ঃসন্ধির একটি বড় কারণ। প্লাস্টিকের অধিক ব্যবহার আমাদের গ্রহের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জও বাড়িয়ে তুলছে। এসব দূষণ বন্ধের জন্য লাখ লাখ ডলার ব্যয়ে প্রচারণা শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। মার্স, নেসলে, ডানো, কোকা-কোলাসহ ৩১টি প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্লাস্টিক উৎপাদনের তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ কর্মীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া এলেন ম্যাকআর্থারকে তথ্য সরবরাহ করেছে কোকা-কোলা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোকা-কোলার হিসাব অনুযায়ী বছরে ৫০০ মিলিলিটার আকারের বোতলের উৎপাদন সংখ্যা ১০৮ বিলিয়ন, যা বিশ্বে মোট উৎপাদিত বোতলের এক পঞ্চমাংশের বেশি।

এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, বিশ্বের ৩১টি প্রতিষ্ঠান বছরে ৮০ লাখ টন প্লাস্টিক উৎপাদন করে। তবে তাদের সংগঠনের সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ ১৫০টি প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের তথ্য সরবরাহ করতে রাজি নয়। এর মধ্যে রয়েছে পেপসি, এইচ অ্যান্ড এম, লরিয়েল, ওয়ালমার্ট, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের মতো প্রতিষ্ঠান। তবে এই অবস্থানের কারণে গত বছর অনেক সমালোচিত হয় তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এলেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন জানায়, প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাস্টিক দূষণ ঠেকাতে যে ভূমিকা নিয়েছে তার মধ্যেই এই তথ্য উন্মোচন নতুন মাত্রার এক স্বচ্ছতা তৈরি করেছে।

সংগঠনটি বলছে, বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সরকারগুলোর অনেক করণীয় রয়েছে। ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান যে তথ্য উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি স্বচ্ছতা তৈরির এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের অনুসরণ করার আহ্বান জানাই।

এখন পর্যন্ত প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের এই অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেছে ১৫০টি প্রতিষ্ঠান। তাদের লক্ষ্য অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক মোড়কজাত বন্ধ করা এবং একবার ব্যবহারের ধারা থেকে বেরিয়ে পুনঃব্যবহারের প্রচলন শুরু করা। ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ প্লাস্টিকই যেন পুনরায় ব্যবহার ও রিসাইকেল করা যায় সেটা নিশ্চিতে কোনো পদ্ধতির উদ্ভাবন।

প্লাস্টিক নিয়ে এমন এক চক্রকার অর্থনীতি তৈরি করতে হবে যেন প্লাস্টিকের পুনরায় ব্যবহার বাড়তে থাকে এবং নতুন মোড়ক সেখান থেকেই তৈরি হয়।

নেসলে জানিয়েছে, বছরে ১৭ লাখ টন প্লাস্টিক প্যাকেট উৎপাদন করে তারা। ইউনিলিভার ৬ লাখ ১০ হাজার টন এবং ডানো ৭ লাখ ৫০ হাজার টন প্লাস্টিকের প্যাকেট উৎপাদন করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close