নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে আমাদের সরকার সার্বিকভাবে সক্রিয়। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করতে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার; এই নীতিতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। গতকাল শনিবার রাজধানীর সবুজবাগের ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মন্দিরে অতীশ দীপঙ্কর ও বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ছয়জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ এ পুরস্কারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিকেপিএসের সভাপতি এইচ এইচ সঙ্গনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের।

তাজুল ইসলাম বলেন, ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহার এ দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের রয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি ও স্বীকৃতি। মহামান্য বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরের পরবর্তী বর্তমান সভাপতি সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন এ প্রতিষ্ঠানের সব স্থাপনা; প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে অনাথ ও দুস্থ শিশুদের আশ্রয় ও মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে চলেছেন। আর বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের সুদৃঢ় সম্পর্ক বিনির্মাণে অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি বলেন, শান্তি স্বর্ণপদক যারা পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ পদক পাওয়া তাদের কর্মের স্বীকৃতি ও অনাগত দিনে তাদের ওপর অতিরিক্ত দায়িত্ববোধ অর্পিত হলো। আমি তাদের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।

শিক্ষা, ধর্ম, দর্শন, সর্বজনীন মঙ্গল ও কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতি বছরের মতো দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে ‘অতীশ দীপঙ্কর শান্তি স্বর্ণপদক’ ও ‘বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক’। এবারে ‘অতীশ দীপঙ্কর শান্তি স্বর্ণপদক’ পুরস্কার পেয়েছেন, গ্রিসের ট্রু লাইফ ইন গড, ইতালির লামা গঞ্চন, ভারতের লামা লুবজং ও চীনের জোহাং লাইফিন। এ ছাড়া ‘বিশুদ্ধানন্দ শান্তি স্বর্ণপদক’ পেয়েছেন, বাংলাদেশের পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইঞ্জিনিয়ার পলক কান্তি বড়–য়া। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি, বাসুলা রাইডেন, লামা গাঞ্জন, লামা লভজং, পীযূশ বন্দ্যোপধ্যায়। উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে সংগঠনটি নিয়মিত এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close