মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

পটুয়াখালী পল্লীবিদ্যুৎ

মিটারের জন্য বেশি টাকা তোপের মুখে ফেরত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মির্জাগঞ্জ গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় স্পর্টমিটার বিতরণের কাজ উদ্বোধনের নামে বেআইনিভাবে টাকা সংগ্রহের অভিয়োগ পাওয়া গেছে। গ্রাহক মো. হাসান বলেন, শনিবার এ গ্রামের স্পর্টমিটার উদ্বোধনের কথা আমরা কেউ জানি না। আমিসহ ১৩৩ গ্রাহককের কাছ থেকে মিটার বাবদ ৮০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মরণ চন্দ্রকে জানানো হয়। এরপর মিটার বাবদ ৪৫০ টাকা এবং অতিরিক্ত ৩৫০ টাকা যাদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল তাদের ফেরত দিয়েছেন স্থানীয় বাদল মাস্টার।

জানা গেছে, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের আওতায় উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর মির্জাগঞ্জ গ্রামে সিআর-১৬৮-১৮ নম্বর লটে ১৩৩ জন মিটার গ্রাহকের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে ৪৫০ টাকা নেওয়ার কথা। কিন্তু স্পর্টমিটার দেওয়ার শুরুতে কোনো গ্রাহককে উপস্থিত না করেই পল্লী বিদ্যুতের অসাধু কর্মকর্তারা স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের দালালের মাধ্যমে ৮০০ টাকা করে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মরণ কুমারের উপস্থিতিতে গতকাল শনিবার ওই গ্রামের উত্তর মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বসে গ্রাহকের অনুপস্থিতিতেই স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের দালাল বাদল মাস্টার ১৩৩টি মিটারের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৮৮০ টাকা পল্লী বিদ্যুতের টিম লিডারের কাছে দিয়ে গ্রাহকদের রশিদ বুঝিয়ে দেন।

পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মরণ চন্দ্র বলেন, প্রকৃত গ্রাহকদের কাছ থেকে মিটার বাবদ ৪৫০ টাকা রশিদের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. আবু সাঈদ বলেন, স্পর্টমিটার গ্রাহকদের উপস্থিতিতে দেওয়ার কথা। একজনের কাছ থেকে মিটার বাবদ সব গ্রাহকের টাকা নেওয়ার কোনো বিধান নেই। স্পর্ট মিটার বিতরণের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close