নিজস্ব প্রতিবেদক
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাট ব্যবহার হবে
পাটমন্ত্রী
প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প হিসেবে সর্বত্র পাটের ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাট আমাদের আদিকালের পণ্য। পাটের টাকা নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ হয়েছিল। কারণ পাকিস্তান আমাদের পাটের টাকা ঠিকমতো দিত না। আর সেই পাট এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। এটা হতে পারে না। সারা বিশ্বে এখন প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যবহার হচ্ছে। আমাদেরও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাট পণ্যের ব্যবহার করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কাঁচাপাট রফতানির কথা ভাবছে সরকার। এর সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাটচাষিকে বাঁচাতে সরকার এ উদ্যোগ নেবে। এছাড়া বিজেএমসি জুটমিলগুলোকে ঠিকমতো টাকা দিতে পারেনি। যার কারণে অনেক মিল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংকগুলো থেকেও মিল মালিক বা রফতানিকারকরা ঋণ সুবিধা পান না। সেটার বিষয়ে সরকার কাজ করছে। এছাড়া যেসব প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সরকার সবার সঙ্গে আলোচনা করবে।
এদিকে অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভারত অ্যান্টি ডাম্পিং করছে। এটা করা হয় দেশীয় শিল্পকে বাঁচানোর জন্য। তারা তাদের শিল্পকে বাঁচানোর জন্য সেটা করতে পারে। এর পরও বৈদেশিক বাণিজ্যিক যুক্তি থাকায় ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আমরা ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। এরপর অ্যান্টি ডাম্পিং বিষয়ে বলা হবে আগামীতে হবে নাকি এমনই থাকবে।
দুপুরে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক আলোচনাসভায় গোলাম দস্তগীর বলেন, তামাক বর্জন করে দেশে তুলার চাষ বাড়ানো হবে। যেখানে তামাক চাষ করা হয় সেখানে মানুষ যেন তুলা চাষ করে সেটার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর তামাকের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে। এতে করে দেশের ট্যারিফও বাড়বে। তুলা শিল্পকে বাঁচাতে সরকার কাজ করবে। কারণ গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে তুলা ব্যবহার করা হয়। তুলা না থাকলে আমাদের শিল্পখাতে অনেক সমস্যা হবে। বৈদেশিক আয় কমে যাবে। সেজন্য আমরা তুলাচাষ বৃদ্ধি এবং একই সঙ্গে বৈদেশিকভাবে কীভাবে আরও বেশি আয় করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আলোচনসভায় বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
"