আদালত প্রতিবেদক

  ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে ৩০ দিনে

* শিশুর পরিচয় প্রকাশ নয় * গাজীপুরের ২ পুলিশকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। উক্ত সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট আদালতে এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজউদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এদিকে একই দিন আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলায় শিশুর নাম, ঠিকানা, ছবিসহ তার পরিচিতি প্রচার-প্রকাশের বিষয়ে গণমাধ্যমকে সতর্ক করেছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত তদারকিতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের আইজি ও এসপিদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নরওয়ে প্রবাসী ড. নুরুল ইসলাম শেখকে মাদক মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। একইসঙ্গে ওই প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার কারণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আবদুল হালিমকে ওই থানা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য গাজীপুরের এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওই এসআইকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকা-ের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন আদালত।

আদালতে নুরুল ইসলাম শেখের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফারুক আলমগীর চৌধুরী। আর এসআই আবদুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর এসআই মো. আবদুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ১০ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে আবেদন জানান। পরে আদালত ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে। তলব আদেশে হাজির হওয়ার আগেই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে নুরুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট বলেছেন, শিশু অপরাধীর একটি খবর প্রকাশের সময় নাম ঠিকানা এবং শব্দ চয়নে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার আইন বহির্ভূত কাজ করেছে। এ বিষয়ে পত্রিকাটিকে সতর্ক করেছেন আদালত। একইসঙ্গে সব গণমাধ্যমকে বলা হয়েছে, খবর প্রচারের সময় যেন শিশুদের নাম ঠিকানা প্রকাশ না পায়Ñ সে বিষয়টি মেনে চলতে।

রায়ের পর রিটকারী ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়্যেদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ‘বয় গেটস টেন ইয়ার্স ফর কিলিং ক্লাসমেটস’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে। সে খবরে শিশু অপরাধীর পরিচিতি প্রকাশ করা হয়েছে; যা স্পষ্টত শিশু আইন, ২০১৩-এর ২৮ ধারার লঙ্ঘন।

ব্যারিস্টার সুমন জানান, আইনে স্পষ্টভাবে আছে শিশু আসামির নাম ব্যবহার করতে পারবেন না। ডেইলি স্টার একটি নিউজে একজন শিশুর নাম ঠিকানা ব্যবহার করেছে। তাকে চিহ্নিত করেছে। বিষয়টি হাইকোর্টে আনার পর শুনানি শেষে রায় দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close