বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্রীদের বেগম রোকেয়া হলে সিট সংকট নিরসনের দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখে ওই হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোকেয়া হলের সামনে প্রায় শতাধিক ছাত্রী রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। বিক্ষোভের দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইতিবাচক আশ্বাসে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা।

জানা যায়, ২০১৬ সালের শেষের দিকে হলের কাজ অপূর্ণ রেখেই বেগম রোকেয়া হলে ছাত্রী উঠানো শুরু হয়। ২০১৯ সালেও শেষ হয়নি ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চমতলা তৈরির কাজ। এদিকে বর্তমানে হলে ১ হাজার সিটের বিপরীতে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ছাত্রী অবস্থান করছেন। এতে সিট সংকটে পড়েছেন ওই হলের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। হলের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীরা এখনোওগণরুমে (হলের ডাইনিং রুম) এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীরা এক বেডে দুজন করে অবস্থান করছেন। ওই হলের ছাত্রীদের অভিযোগ, গত বছরে মার্চে এবং সেপ্টেম্বরে হলের কাজ শুরু করার জন্য একাধিকবার আন্দোলনে নামে তারা। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিগগিরই কাজ শুরু করার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এ বছরেও কাজ শুরু হয়নি।

এদিকে হলে ভবনের কাজ শুরু করার দাবি জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামে ছাত্রীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, হলের প্রভোস্টসহ প্রশাসনের শিক্ষকবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এতে কাজ শুরুর বিষয়ে লিখিত চান ছাত্রীরা। কিন্তু কাজ শুরুর বিষয়ে শিক্ষকরা লিখিত দিতে অপরাগতা জানালে আন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে রাত ৩টার দিকে হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করার আশ্বাস দিলে হলে ফিরে যান ছাত্রীরা।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, নিয়মতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বেগম রোকেয়া হলের একটি ব্লকের চতুর্থ ও পঞ্চমতলার কাজ স্থগিত আছে। তবে খুব শিগগিরই হলের কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করছি।

"