পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আটক দুই মাদকসেবীকে ছিনিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় যুবকরা। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার জয়াখালি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় আহত হয়েছেন শ্যামনগর থানার এএসআই আবদুল হাইসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা দানের অভিযোগে গতকাল সোমবার সকালে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন দুই হামলাকারী।

শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই রাজ কিশোর পাল জানান, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে জয়াখালি গ্রামে সামাজিক যাত্রাপালা আয়োজন করা হয়। যাত্রাপালার অনুষ্ঠান চলাকালে রোববার রাত ১১টার দিকে গাঁজা সেবন করছিল তারানীপুর গ্রামের সোহাগ ও আবদুল্লাহ নামের দুই যুবক। এ সময় পুলিশের এএসআই আবদুল হাই, এএসআই মিজান ও কনস্টেবল শাহজালাল দুই গাঁজা সেবনকারীকে আটক করে। পরে স্থানীয় কিছু যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় তাদের ছিনিয়ে নেয়।

স্থানীয়রা জানান, পুলিশের হাতে দুই যুবক আটকের পর রমজাননগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। উপস্থিত হয়ে আটক দুই মাদকসেবীকে যুবলীগের পরিচয় দিয়ে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিছু সময় পর সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় যুবকরা।

পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে জানাতে জেলা ও শ্যামনগর উপজেলা যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও ফোন কল রিসিভ করেননি কোনো নেতা।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারি বাধাদানের অভিযোগে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে জয়াখালি গ্রামের নুর আলীর ছেলে হাসান আলী গাজীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা কোন দলের কর্মী বা সমর্থন সেটি দেখার বিষয় নয়। এখানে তারা অপরাধী। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

"