চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার মিতুর

নিহত ডা. আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেলসহ একাধিক পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।

গতকাল শুক্রবার তিন দিনের রিমান্ডের শেষ দিনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ আবদুল কাদের প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, চিকিৎসক আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো এতদিন অস্বীকার করলেও শুক্রবার সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আমেনা বেগম ও উত্তরের উপকমিশনার বিজয় বসাকের কাছে মিতু একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। শনিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান।

প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি রাতভর আকাশের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ওই সময় আকাশের বাসায় একটি ভিডিও ধারণ করা হয়। যে ভিডিওতে মিতু তার একাধিক বন্ধুর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। দুজনের ঝগড়ার একপর্যায়ে মিতুর বাবা ইঞ্জিনিয়ার আনিসুল হক চৌধুরী দিবাগত রাত ৪টার দিকে স্বামীর বাসা থেকে মেয়েকে নিয়ে যান। এরপর আকাশ ফেসবুকে মিতুকে জড়িয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে শরীরে ইনসুলিন ইনজেকশন পুশ করে আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনার পরদিন শুক্রবার রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় আকাশের স্ত্রী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে আটক করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় সিএমপির চান্দগাঁও থানায় আকাশের আত্মহত্যার ঘটনায় মিতুকে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন আকাশের মা জোবেদা খানম। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মিতুকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি মিতুকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close