প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

প্রথম কলাম

‘গরু খাচ্ছে ফসল মোদিকে ভোট দেব না’

তীব্র শীতের রাত, তবু জেগে থেকে ফসল পাহারা দিতে হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের কৃষকদের। কারণ মালিকানাবিহীন ইতস্তত ঘুরে বেড়ানো গরুর পাল এসে তাদের ফসল নষ্ট করে দেয়। এসব কৃষকের সংকট কেবল একটি নয়, যে ফসল তারা এত পরিশ্রম করে গরুর হাত থেকে রক্ষা করছেন, তার দামও পড়তে শুরু করেছে। এ উভয় সংকটের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, ছাড়া গরুর সংখ্যা এতটাই বাড়ছে যে, এগুলো এখন তাদের বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে; যার পেছনে আসল কারণ গো-রক্ষানীতি। গরু নিয়ে আগে কখনো এমন কট্টরনীতি ছিল না, তাই ফসলের জন্য এভাবে রাতও জাগতে হয়নি তাদের। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতের উত্তর প্রদেশে কসাইখানা ও দেশজুড়ে গরু পাচারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান চালানো হয়েছে। গো-রক্ষাকারী জঙ্গি হিন্দুদের হামলা বেড়ে গেছে গরু বহনকারী ট্রাকের ওপর। এতে গরু ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক জন্ম নিয়েছে। ভয়-আতঙ্কে গরু ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। দীপক চৌধুরী নামে একজন খামার মালিক বলেন, ‘গরুর কথা বাদ দেন, বিজেপির গো-রক্ষকদের কারণে আমরা এখন আত্মীয়স্বজনদের কাছেও পশু বিক্রি করতে পারি না।’ সাইনি বাবুরাও নামে ৮০ বছর বয়সী এক প্রান্তিক কৃষক বলেন, ‘সামনের নির্বাচনে মোদিকে ভোট দেব না। জীবনে কখনো এত বেশি ছাড়া গরু দেখিনি।’ ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই গো-হত্যা বেআইনি। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর গো-মাংসের বাণিজ্য বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন হিন্দুরাও। একই সঙ্গে নোট বাতিলের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারতীয় অর্থনীতি। কেবল নোট বাজেয়াপ্ত করার কারণেই চাকরি হারান দেশটির প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close