পাঠান সোহাগ
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯
মেলা প্রাঙ্গণের বাইরেও ছিল উপচেপড়া ভিড়
ছুটির দিনে লোকারণ্যের মেলা প্রাঙ্গণ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ভিড়ের প্রভাব ছিল মেলার আশপাশ এলাকায়। শেরেবাংল নগরের চারপাশে, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের সড়ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, গণভবন, শ্যামলী কলেজ গেট, মিরপুর রোডসহ বিভিন্ন সড়কে ছিল উপচে পড়া ভিড়। যানবাহনের আনাগোনা অন্যদিনের চেয়ে বেশি ছিল। কলেজ গেট মিরপুর মেইন রোড থেকে মেলার মূল ফটক দিয়ে বিকেলে মেলায় প্রবেশ করতে প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লেগে যায়। অন্যান্য দিনের চেয়ে গতকাল বেশি হয়েছিল মেলার বেচাকেনা। এতে খুশি ছিলেন দোকানি ও বিক্রয়কর্মীরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দর্শনার্থী, ক্রেতা ও বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটায় জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতার সমাগম ছিল। দুপুরের পর থেকে লোকারণ্য হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। প্রত্যেকটি স্টলে দর্শনার্থী ক্রেতার সমাগম ছিল। মেলায় কথা হয় গাজীপুরে আল আমিনের সঙ্গে। তিনি জানান, ‘দুপুরে জুমার নামাজ শেষ করে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। দুই ঘণ্টা বাসে ছিলাম আর মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই ৪০ মিনিট লাগল। বাইরে যেমন ভিড়, ভেতরে ঠিক তেমনি ভিড়।’ সাভারের আবদুর রউফ জানন, ‘যে ভিড়, তাতে কেনাকাটা করে নিয়ে বের হতে পারর কি না সেটাই ভাবার বিষয়।’ মেলা থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন আবুল কালম। হাতে দু-তিনটি ব্যাগ। সড়কে যানজট। তিনি জানান, ‘বাড়িতে পৌঁছাতে রাত ১১টা বাজবে। মেলার ঘুরতে এসে বিপদে পড়লাম।’
আয়োজক কমিটির কর্মকর্তা ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, পোশাক, ফার্নিচার, কসমেটিকস, খাবারের স্টলগুলোসহ প্রত্যেকটি স্টলে আশানুরূপ বেচাকেনা হয়েছে। রাত ৮টার পর এই জনস্রোত কমতে থাকবে।
"