আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯

আস্থা ভোটে টিকে গেলেন থেরেসা মে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর অনাস্থা ভোটে টিকে গেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। মাত্র ১৯ ভোটের ব্যবধানে টিকে গেছে তার সরকার। গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দীর্ঘ আলোচনার পর এ ভোটাভুটিতে থেরেসা মের সরকারের প্রতি সমর্থন জানান ৩২৫ জন এমপি, অপরদিকে অনাস্থা জানান ৩০৬ জন। এর প্রতিক্রিয়ায় থেরেসা মে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সব এমপিদের নিজ স্বার্থকে একপাশে রেখে একসঙ্গে গঠনমূলক কাজ করার আহ্বান জানান। গত বুধবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মে, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস এবং সাইমরু নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেও লেবার নেতা জেরেমি করবিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। মে বলেন, লেবার পার্টির নেতা এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগ না দেওয়ায় আমি হতাশ হয়েছি। তবে আমাদের দরজা সব সময় খোলা আছে। এর আগে মঙ্গলবার ব্রেক্সিট ইস্যুতে দীর্ঘ আলোচনার পর এক ভোটাভুটিতে ২৩০ ভোটের রেকর্ড ব্যবধানে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পরাজিত হওয়ার পর অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

এর আগে গতকাল ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি দেশটির পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়। পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে চুক্তির পক্ষে ভোট পড়ে ২০২টি এবং চুক্তির বিপেক্ষ ভোট পড়ে ৪৩২টি। থেরেসার রক্ষণশীল দলের অনেক এমপি, লেবার পার্টি, ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের অনেক এমপি চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন। ব্রেক্সিটের সময় ঘনিয়ে আসছে। ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা। অর্থাৎ ব্রিটেনের হাতে আছে আর মাত্র ৭৩ দিন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের অপসারণ, যা সংক্ষেপে ব্রেক্সিট নামে পরিচিত। ব্রিটেন ১৯৭৩ সালে ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটির সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর লক্ষ্য ছিল সুলভমূল্যে ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য ও অভিন্ন বাজার সুবিধা।

১৯৯৩ সালে ইইউ নিজস্ব মুদ্রা, নীতিমালা, নাগরিকদের জন্য সীমানামুক্ত বিচরণসহ যুক্ত করাসহ অনেকগুলো পরিবর্তন আনে। কিন্তু অনেক ব্রিটিশ নাগরিক ব্রিটেনের ইইউর বিধি-নিষেধ মেনে চলা নিয়ে বেশ নাখোশ। তাই ইইউ থেকে ব্রিটিশ জনগণের থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বা ব্রেক্সিট নিয়ে ২০১৬ সালের ২৩ জুন এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাজ্যের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close