পাঠান সোহাগ

  ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৯

বিদেশি পণ্যের স্টলে ভিড় বেশি

দেশি স্টল-প্যাভিলিয়নের চেয়ে বিদেশি

স্টল-প্যাভিলিয়নে দর্শনার্থী ও ক্রেতার আনাগোনা অনেক বেশি। বিক্রিও বেশি। নিত্যনতুন ডিজাইন ও সাজসজ্জা, মানসম্মত নতুন পণ্য, ক্রেতা আকর্ষণ করার নানা রকম অভিনব কায়দা, প্রচারণা নতুন কৌশলে বিদেশি স্টলগুলোয় দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড় বেশি। এমনটায় জানা গেল ক্রেতা, দর্শনার্থী ও বিদেশি স্টলের বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। বিক্রয়কর্মীরা জানান, বিদেশি স্টলের পণ্য নতুন ডিজাইনের। এর বেশির ভাগই এ দেশে পাওয়া যায় না। তাই বিদেশি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ বেশি।

এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় থাইল্যান্ড, ইরান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভারত, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা কসমেটিকস, জুয়েলারি, মেলামাইন, মসলা, জুতা, সিরামিক, অ্যালোমোনিয়াম, পাথর, কার্পেট, কাপড়-চোপড়, প্লাস্টিকের নানা রকমের পণ্যের সমাহার নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন। এসব স্টলের ব্যবসায়ীরা জানান, ‘তাদের স্টলগুলোয় তুলনামূলকভাবে ক্রেতা দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেশি। বিক্রিও ভালো।’ এসব স্টলে ১০০ টাকা থেকে লাখ টাকায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় আগের চেয়ে কম। বিভিন্ন স্টলে বিক্রয়কর্মীরা ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে নানা রকম অফার দিয়ে গলা ছেড়ে হাঁক-ডাক ছাড়ছেন। যারা এসেছেন তারা সবাই ভিড় করছেন বিদেশি স্টলগুলোয়। পোলাইড ইরানি পণ্যের সমাহার নামের স্টলে কথা হয় আকাশ ও আলিফের সঙ্গে। তারা জানান, ‘তাদের স্টলে তেরোজন বিক্রয়কর্মী কাজ করছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন সরাসরি বিক্রয় কাজে নিয়োজিত। দুজন দর্শনার্থী ও ক্রেতা স্টলে ঢোকানোর কাজ করছেন। আর ছয়জন স্টলে পণ্য সাজানোর কাজ করছে।’ তারা জানান, ‘সকালের দিকে বিক্রি ভালো হয়নি। বিকেলে বিক্রি বেড়েছে।’ তুরস্ক থেকে হরেক ডিজাইনের কার্পেট নিয়ে এসেছেন হালিফা বিল্লাল। তিনি জানান, ‘এই স্টলে ৪০ ধরনের কার্পেট আছে। এসব কার্পেট ৬০০ টাকা থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’ মেলায় কথা হয় খিলগাঁও থেকে আসা রিতা সাহার সঙ্গে। তিনি জানান, ‘গ্রামের বাড়ি থেকে মা-বোন এসেছেন। তাদের নিয়ে মেলায় এসেছি। মায়ের পছন্দের কাশমিরি জুতা আরা শাল কিনলাম।’ বনানী থেকে আসা আজু জানান, ‘কাশ্মীরি পাথরের আংটি কিননাম। এই আংটির অনেক গুণ আছে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close