আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৯ জানুয়ারি, ২০১৯

প্রাণের অস্তিত্বের আশায় ৪ ভিন গ্রহের সন্ধান

প্রাণ ও পানির অস্তিত্ব রয়েছেÑ এমন ধারণার প্রায় চার হাজার ভিনগ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার আরো খোঁজ মিলল ৪টি ভিনগ্রহের। যার একটি আকারে পৃথিবীর প্রায় দ্বিগুণ। সেগুলোও অনেকটাই পৃথিবীর মতো। নাসার উপগ্রহের নজরে পড়া তিনটি ভিনগ্রহ রয়েছে আমাদের খুব কাছে। সেখানে পানি ও প্রাণের হদিস মেলার আশা বিজ্ঞানীদের। তবে সবকটি ভিনগ্রহই রয়েছে তাদের নক্ষত্র থেকে এমন একটি দূরত্বে, যাকে বলে ‘হ্যাবিটেবল জোন’ বা বাসযোগ্য এলাকা। যেখানে পানি তরল অবস্থায় থাকার সম্ভাবনা থাকে যথেষ্টই। ওই ভিনগ্রহগুলোতে যদি বায়ুম-লের অস্তিত্বেরও প্রমাণ মেলে, তাহলে সেখানে প্রাণের হদিস পাওয়ার সম্ভাবনা আরো জোরালো হবে।

সিয়াটলে আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির ২৩৩তম বৈঠকে গত সোমবার একটি ভিনগ্রহের আবিষ্কারের ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়েছে, নাসার কেপলার টেলিস্কোপের পাঠানো তথ্যাদিই ওই ভিনগ্রহটির খোঁজখবর দিয়েছে। ভিনগ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘কে-২-২৮৮বিবি’। রয়েছে আমাদের থেকে ২২৬ আলোকবর্ষ দূরে। ‘টরাস’ নক্ষত্রপুঞ্জে। আমাদের সূর্যের চেয়ে আকারে অনেক ছোট, অনেক হালকা আর প্রায় ‘টিমটিম’ করে জ্বলা একটি তারাকে একবার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে ভিনগ্রহটির সময় লাগে ৩১ দশমিক ৩ পার্থিব দিন। মানে আমাদের ৩১ দিনের মাস পেরোনোর পর আরো ৩টি ঘণ্টা। পরে নাসার সায়েন্স মিশন ডাইরেক্টরেটের অ্যাসোসিয়েট অয়াডমিনিস্ট্রেটর থমাস জুরবুচেন তার টুইটেও ওই আবিষ্কারের কথা জানিয়েছেন।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ওই ভিনগ্রহটি যে তারামন্ডলে রয়েছে, তার নাম ‘কে-২-২৮৮’। সেখানে দুটি তারা একে অন্যকে প্রদক্ষিণ করছে। মূল গবেষক ফিনস্টিন বলেছেন, ‘আকারের জন্যই এই ভিনগ্রহটি কিছুটা বিরল প্রকৃতির। ব্রহ্মা-ের সৃষ্টি রহস্যের জট খুলতে এই ভিনগ্রহ পথ দেখাতে পারে।’

ওদিকে পরে নাসার সায়েন্স মিশন ডাইরেক্টরেটের অ্যাসোসিয়েট অয়াডমিনিস্ট্রেটর থমাস জুরবুচেন আর একটি টুইটে জানিয়েছেন, নাসার ‘টেস’ উপগ্রহের নজরে ধরা পড়েছে আরো তিনটি ভিনগ্রহ।

তাদের প্রথমটি রয়েছে আমাদের থেকে ৬০ আলোকবর্ষ দূরে ‘মেন্সা’ নক্ষত্রপুঞ্জে। তার নাম ‘পাই মেন্সি-সি’। আকারে পৃথিবীর দ্বিগুণ। সেই ভিনগ্রহটি তার নক্ষত্র ‘পাই মেন্সি’কে একবার প্রদক্ষিণ করে ছয় দিনে। দ্বিতীয় যে ভিনগ্রহটির হদিস মিলেছে, তার নাম ‘এলএইচএস-৩৮৮৪বি’। সেই পাথুরে গ্রহটি আকারে পৃথিবীর ১ দশমিক ৩ গুণ। রয়েছে আমাদের থেকে ৪৯ আলোকবর্ষ দূরে, ‘ইন্ডাস’ নক্ষত্রপুঞ্জে। সন্ধান মিলেছে আরো একটি ভিনগ্রহের। তার নাম ‘এইচডি-২১৭৪৯বি’। এটি আকারে পৃথিবীর তিন গুণ। ২৩ গুণ ভারী। ৫৩ আলোকবর্ষ দূরে, ‘রেটিক্যুলাম’ নক্ষত্রপুঞ্জে থাকা সেই ভিনগ্রহটি তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬ দিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close