বগুড়া প্রতিনিধি

  ০৫ জানুয়ারি, ২০১৯

সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে চান বগুড়ার নারী নেত্রীরা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে এবার নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দল তাদের নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন। ইতোমধ্যেই প্রার্থী হতে বগুড়ায় মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে লবিং শুরু করেছেন। সকলেই বিশ্বাস করেন, দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ত্যাগী, সৎ ও যোগ্যদের মূল্যায়ন করবেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এখন পর্যন্ত যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কামরুন্নাহার পুতুল, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি সাবেক এমপি খাদিজা খাতুন শেফালী, সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, জেলা পরিষদ সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাহফুজা খানম লিপি, জেলা মহিলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক হেফাজত আরা মিরা প্রমুখ। জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ডালিয়া নাসরিন রিক্তা জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভক্ত। ১৯৮৯ সালে বগুড়া সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ডিগ্রি পাস করার পর ১৯৯৩ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০৮ সাল থেকে জেলা যুব মহিলা লীগের হাল ধরেছেন। এরপর তিনি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার সংগঠনকে শক্তিশালী করেন। অধিকাংশ পরিবার তাদের মেয়েদের রাজনীতিতে আসতে দিতে চান না। এর পরও তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যুব মহিলা লীগকে পরিচিত ও অনেক নারীকে রাজনীতিতে এনেছেন। তিনি জানান, জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে এবং মনোনয়ন সংগ্রহ করবেন।

জেলা মহিলা লীগের সভাপতি খাদিজা খাতুন শেফালী জানান, তার স্বামী হাসান আলী তালুকদার ১৯৭৩ সালে দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি আসনের এমপি ছিলেন। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে আওয়ামী রাজনীতির সথেঙ্গ আছেন। ৮৯ সাল থেকে জেলা মহিলা লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সংরক্ষিত আসনের এমপি ছিলেন। আগামীতে তিনি প্রার্থী হতে চান।

জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া নিগার সুলতানা ডরোথী জানান, তার বাবা ডা. গোলাম সারওয়ার শেরপুর-ধুনট আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হবেন।

জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক হেফাজত আরা মিরা জানান, তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন। সংগঠনের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি আগামীতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হবেন। তিনি প্রত্যাশা করেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই মাঠপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ত্যাগী, সৎ ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন করবেন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মাহফুজা খানম লিপি জানান, তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। উত্তর জনপদের নারী শিক্ষার অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি তিনি। বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কামরুন্নাহার পুতুল বলেন, তিনি ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও তিনি মনোনয়ন চাইবেন। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকেই মনোনয়ন দেবেন। উল্লেখ্য, তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজার রহমান পটলের স্ত্রী। এ প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজনু জানান, সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপির ব্যাপারে বগুড়া থেকে দু-তিনজন চাওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close