প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দের তালিকায় শীর্ষে কেন ‘ইডিয়ট’!

গুগল ট্রেন্ডের তথ্যমতে, ‘ইডিয়ট’ শব্দটি এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দ। এরই মধ্যে এ শব্দটিতে ১০ লাখেরও বেশিবার খোঁজা হয়েছে। গুগল ইমেজে গিয়ে ইংরেজিতে ‘ইডিয়ট’ শব্দটি লিখলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ভেসে ওঠে, যুক্তরাষ্ট্রের একজন কংগ্রেসম্যান এ রকম বক্তব্য দেওয়ার পর লাখ লাখ মানুষ গুগলে ‘ইডিয়ট’ শব্দটি খুঁজেন।

বিবিসি গতকাল শুক্রবার জানায়, কংগ্রেসে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের শুনানির সময় এই অদ্ভুত যোগাযোগের বিষয়টি উঠে আসে। পিচাইয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, গুগলের অ্যালগরিদমে এটা কি রাজনৈতিক কোনো পক্ষপাত থেকে করা হয়েছে কি না? তিনি এই অভিযোগ নাকচ করে দেন। গুগল ট্রেন্ডের তথ্যমতে, ‘ইডিয়ট’ শব্দটি এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দ। এরই মধ্যে এটি ১০ লাখেরও বেশিবার খোঁজা হয়েছে। অন্য দেশের গুগল ইউজাররাও এ শব্দটি হাজার হাজার বার খুঁজেছেন। গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাইয়ের কাছে ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যান জোয়ি লোফগ্রেন জানতে চেয়েছিলেন, কোন ‘ইডিয়ট’ শব্দটি গুগলে লিখলে অন্যসব তথ্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি ভেসে ওঠে? কীভাবে এটা ঘটে? কেন খোঁজার প্রক্রিয়ায় এ বিষয়টি ঘটে?, তিনি জানতে চান। পিচাই জবাব দেন যে, কোটি কোটি ‘কি ওয়ার্ড’ থেকে ২০০টির বেশি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল তৈরি করে, যার মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা এবং জনপ্রিয়তার মতো বিষয় রয়েছে। সুতরাং এটা এমন নয় যে, গুটিকয়েক

লোক পেছনে বসে ঠিক করছে যে, আমরা ব্যবহারকারীদের কি ফলাফল দেখাব?

কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরাও পিচাইকে চেপে ধরেন। যেমন স্টিভ ক্যাবোট জিজ্ঞেস করেন, যেকোনো তার দলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে কিছু লিখলে শুধু নেতিবাচক সংবাদগুলোই দেখানো হয়। পিচাই উত্তর দেন, যখন মানুষ গুগল লিখে কোনো কিছু অনুসন্ধান করে, তখনো এ রকম নেতিবাচক খবর দেখা যায়। ‘ইডিয়ট’ শব্দের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আসার এ বিষয়টি এ বছরের শুরুর দিকেই আলোচনায় আসে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি সফরের সময় ব্রিটিশ বিক্ষোভকারীরা ‘আমেরিকান ইডিয়ট’ গানটিকে ইউকে চার্টের শীর্ষে নিয়ে আসেন। এটা ঘটে যখন ওয়েবসাইট রেডিট একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করে যে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবির সঙ্গে ‘ইডিয়ট’ শব্দটি ছিল। এর মাধ্যমে তারা নিজের স্বার্থে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ডাটাবেজের ব্যবহার করতে চেয়েছিল, যে প্রবণতা ‘গুগল বম্বিং’ নামে পরিচিত। এটাই প্রথম নয় যে, কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ রকম অনাকাক্সিক্ষত শব্দের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে। ২০০৩ সালে ‘মিজেরাবল ফেইলিওর’ বা দুঃখজনক ব্যর্থতা লিখলে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ছবি দেখা যেত। কংগ্রেসের এই শুনানিতে আরো একটি ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্যের এই প্রযুক্তি শিল্প নিয়ে খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের ধারণা রয়েছে। যেমন রিপাবলিকান স্টিভ কিং সুন্দার পিচাইয়ের কাছে জানতে চান, কেন তার নাতনির আইফোনটি অদ্ভুত আচরণ করে? পিচাই জানান যে, ওই ফোনটি গুগল তৈরি করেনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close