সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

  ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

সীতাকুন্ডে যুব চত্বর নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘যুব চত্বর’ নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলমের বিরুদ্ধে। উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার চত্বরের উত্তর-পশ্চিম কর্নারে উপজেলা পরিষদ রাজস্ব তহবিলের অর্থায়ন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের আশ্বাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানে নির্মিত হয়েছে যুব চত্বর। ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই প্রকল্প হওয়ার অভিপ্রায়ে প্রশিক্ষিত আবেদনকারী যুবদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে ১২টি দোকান থেকে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা অনেক আগে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ লাখ টাকা, ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। প্রকল্পে তারল্য সংকট দেখিয়ে উপজেলা মাসিক সভায় ২ প্রকল্প দেখিয়ে ২ লাখ টাকা করে ৪ লাখ টাকা রাজস্ব খ্যাত থেকে নেয়া হয়েছে। ভিত্তিপ্রস্তর থেকে উদ্বোধন পর্যন্ত এই প্রকল্প নিয়ে সাবেক ইউএনও ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে নিয়ে অর্থ লোপাট ও দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই প্রকল্পে খরচ হওয়ার কথা রয়েছে ৮-১০ লাখ টাকা, সেখানে খরচ দেখানো হয় ১৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এই প্রকল্পের নামে একদিকে সাবেক ইউএনও অর্থ নিয়েছেন, অন্যদিকে যুব কর্মকর্তাও টাকা হাতিয়ে নেন। দোকান বরাদ্দে প্রকৃত যুব বেকার উদ্যোক্তাদের না দিয়ে ১২টি দোকান থেকে ৬টি দোকান তাদের নিজস্ব বলয়ে দেওয়া হয়। যেখানে একটি দোকান যুব কর্মকর্তা শাহ আলমের কন্যা শাহনাজ আলম সারাকে দেওয়া হয়। একইভাবে উপজেলা ইউএনওর সিএ আবুল খায়েরের শালিকা ফাহিদা সুলতানাকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনেক উদ্যোক্তা অভিযোগ করেন দোকান বরাদ্দের তালিকায় নাশকতার মামলার আসামিও রয়েছে। যুব চত্বর নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন সাবেরি ও নাজমুন নাহার নেলি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমরা এই প্রকল্পের সভাপতি কি না আজও জানি না। কার স্বার্থে এই প্রকল্প? আমরা কিছুই জানি না। আপনাদের (সাংবাদিক) কাছ থেকে জানলাম আমরা এই প্রকল্পের সভাপতি। কবে উদ্বোধন হবে তাও আমরা এখনো জানি না।’ এই প্রসঙ্গে সাবেক ইউএনও তারিকুল আলম জানান, উপজেলা পরিষদের নীতিমালায় যুব চত্বর নামে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই।

এই প্রকল্পের সচিব উপজেলা যুব কর্মকর্তা মো. শাহ আলম প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাট, দোকান বরাদ্দে বিষয়ে বলেন, ‘এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি, যারা যুব প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারা দোকান বরাদ্দ পেয়েছে।’ ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, ‘এ যুব চত্বর নিয়ে অর্থ ও দোকান বরাদ্দে কিছু অনিয়ম আছে বলে আমি শুনেছি।’ এদিকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যুব চত্বর নির্মাণের বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, ‘উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা চত্বরে যুব চত্বর নামে দোকানপাট করার কোনো অবকাশ নেই, আর কেউ যদি দোকানপাট করেও থাকে আমরা তা ভেঙে দেব।’ প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল এই যুব চত্বর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close