রংপুর ব্যুরো

  ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র ১৪ বছর পর চালু

১৪ বছর বন্ধ থাকা রংপুরের রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটি আবারও চালু করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে চালু হলো এটি। স্মৃতি কেন্দ্রের দুই কর্মকর্তা উপপরিচালক ফারুখ আহাম্মেদ ও সহকারী গ্রন্থাগারিক আবেদা সুলতানাও সুপ্রিম কোর্টের আদেশে চাকরি ফিরে পেয়েছেন। তবে দুই নাইটগার্ড বাতেন ও মজনু চাকরি ফিরে না পেলেও পেয়েছেন অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি। ফলে স্মৃতি কেন্দ্রটি ফের সচল করেছে বাংলা একাডেমি। তবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় স্মৃতি কেন্দ্রে শুধু গান আর ছবি আঁকা শেখা ছাড়া আর কোনো কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সংগ্রহশালায় থাকা আলমারিগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। গবেষণাগারটিও বন্ধ। সুদৃশ্য ভবনটির পলেস্তারা খসে পড়ছে। লাইব্রেরিতে নেই তেমন কোনো বইপত্র। রোকেয়ার বাস্তুভিটায় এখনো পর্যন্ত কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। রংপুরের পীরগাছার আদম সবুজপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলী ও মাহিগঞ্জ এলাকার রাজু আহমেদ জানান, বেগম রোকেয়ার স্মৃতিকে জাগ্রত রাখতে সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। কেন্দ্রের দুই নাইটগার্ড বাতেন ও মজনু বলেন, ‘আমরা না খেয়ে স্মৃতি কেন্দ্রটি সন্তানের মতো আগলে রেখেছি। অথচ আমাদের চাকরি হলো না।’ তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি জানান তারা।

রোকেয়া স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তিনিই পারেন রোকেয়ার স্মৃতিকে চিরজাগ্রত রাখতে।’

রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিব বলেন, রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র ও তার বাস্তুভিটা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী বলেন, অধিকারে আদায়ে নারীরা অনেক বেশি সচেতন। নারীরা এখন পিছিয়ে পড়াদের মধ্যে নেই। বরং দেশের অর্থনীতি ও অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করেছেন; যা রোকেয়ার চেতনা ও দর্শনের প্রতিফলন।

গতকাল রোববার সকালে বেগম রোকেয়ার স্মৃতিবিজড়িত জন্মস্থান পায়রাবন্দে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে রংপুর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি-অ.দা.) রুহুল আমিন মিঞা প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close