বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বাঘায় প্রকৌশলীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
দাম্পত্য কলহের জেরে মেহেদী হাসান ওরফে মিলন নামে এক প্রকৌশলীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মেহেদীর বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা নতুনপাড়া গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তবে মৃতের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ দাবি করেছেন, তার মেয়ে বৈশাখীকে বুধবার যেকোনো সময় খুন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে বুলিয়ে আত্মহত্যার কথা প্রচার করা হচ্ছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা নতুনপাড়া গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে মেহেদী হসান ওরফে মিলনের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বৈশাখীর বিয়ে হয়। বিয়ের ২০ দিন আগে ঢাকার এক প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন মিলন।
মিলনের বাবা সাজদার রহমান জানান, আমার ছেলের শ্বশুরের চেয়ে আমরা অনেক গরিব। এ কারণে বিয়ের পর থেকে আমার ছেলের বৌ তার স্বামীসহ আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার ছেলে অফিস থেকে বাসায় ফিরে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে আমাদের সবাইকে বিষয়টি অবগত করে।
তবে বৈশাখীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ দাবি করেছেন, তার মেয়েকে হত্যা করে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে লাশ ঝুলিয়েছেন তার জামাই মিলন। এর কারণ হিসাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ঢাকা থেকে মোবাইল ফোনে বৈশাখীর বড় ভাই সৌরভ স্থানীয় সাংবাদিকসহ তার পরিবারকে জানিয়েছেন, বৈশাখীকে বৃহস্পতিবার মারা হয়নি। তাকে খুন করা হয়েছে আগের দিন বুধবার যেকোনো সময়। এ কারণে তার পুরো শরীর ফুলে উঠেছে। পরে যেকোনো সময় লাশের শরীরের সমস্ত স্থানে সরিষার তেল মাখানো হয়েছে, যাতে করে কোনো দাগ ধরা না পড়ে। একই অভিযোগ করেন বাবা আব্দুল আজিজ।
ঢাকার পল্লবী থানা ওসি নজরুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পোস্টমর্টেম করানো হচ্ছে। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। কারণ পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পায়নি। মৃত্যুর পর লাশ তার স্বামী নিজেই নামিয়েছে।
"