দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সব নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটে আজ শুক্রবার একযোগে হবে ভর্তি পরীক্ষা। আটটি বিভাগীয় শহরের মোট ২৫ কেন্দ্রে এ দিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের নৈব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হবে। যাতে অংশ নেবেন অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষার্থী। জানা গেছে, বিএসসি নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং, সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৫২ হাজার ২৯৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। মোট আবেদনকারীর মধ্যে বিএসসি নার্সিংয়ে ১৪ হাজার ১৬৩ জন, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং, সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে ২৯ হাজার ৯৯৩ জন এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিতে আট হাজার ১৩৭ জন আবেদন করেন।

জানা যায়, বর্তমানে দেশে সরকারি ১১টি বিএসসি নার্সিংয়ে এক হাজার ১০০টি, বেসরকারি ৪৫টিতে দুই হাজার ৩৩০টি, ৪৩টি সরকারি সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে দুই হাজার ৫৮০টি, ১৪৫টি বেসরকারি সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারিতে সাত হাজার ৭৭৪টি এবং সরকারি ৩৮টি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিতে ৯৭৫টি ও বেসরকারি ১৬টি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিতে ৫৬৮টি আসন রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মেধা তালিকা প্রণীত হবে। এই তালিকার ভিত্তিতে প্রথমে সরকারি ও পরে বেসরকারি নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।

গত ২৭ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১১ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে ২১ নভেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শেষ হয়।

বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম বলেন, এই প্রথম দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএসের মতো একইদিনে একযোগে সব নার্সিং কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উভয় নার্সিং প্রতিষ্ঠানে যেন মেধাবীরা ভর্তির সুযোগ পান সে লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা।

এদিকে, ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুু হচ্ছে কিনা তা দেখতে মন্ত্রণালয় ও সেবা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিদর্শক দল গঠন করা হয়েছে। পরিদর্শক দলের সদস্যরা আট বিভাগীয় শহরের ২৫ কেন্দ্র পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেবেন।

"