কূটনৈতিক প্রতিবেদক

  ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

সীমান্তে চা চাষের উদ্যোগ ত্রিপুরার

ভারতের সীমান্ত বেড়া এবং বাংলাদেশ-ভারতের আসল সীমান্তের মধ্যে চা রোপণের উদ্যোগের কথা ভাবছে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন করপোরেশন (টিটিডিসি)। চা শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে টিটিডিসির চেয়ারম্যান সান্তোস সাহা বলেন, ‘প্রদেশের চা খাতের উন্নয়ন এবং দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানকে কাজে লাগানোর জন্যই এ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও প্রয়োজন হবে।

আমরা তাদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করব।’

বছরে ত্রিপুরায় ৯০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। ইন্দিরা-মুজিব প্যাক্ট ১৯৭১ এবং দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যবর্তী চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তের ১০০ গজ ভেতরে সীমান্ত বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তের বাংলাদেশ পাড়ে অনেক কৃষকেরই কৃষি জমি রয়েছে। তবে সেখানে তারা সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। এদিকে, দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তে দীর্ঘাকার গাছ বা বাগান করার জন্য গাছ লাগানোর কোনো নিয়ম নেই।

এ বিষয়ে টিটিডিসির প্রধান বলেন, ‘সীমান্তে চা চাষের জন্য বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হবে।’

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘১০০ বছরের পুরনো ত্রিপুরার এই শিল্পটিকে বিকশিত করার জন্য আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেইনি। ১৯১৬ সালে উত্তর ত্রিপুরার হীরাছেড়া টি স্টেটের মধ্য দিয়ে চা শিল্পের শুরু হয়। এখন প্রাদেশিক সরকার এই খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।’

সন্তোষ সাহা বলেন, ‘আমরা দেশের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চায়ের রফতানি আরো বাড়াতে চাই। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং চা রফতানিতে রফতানি কর কমানোর আবেদন জানিয়েছে। নীতিগতভাবে সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে।’

ত্রিপুরার বেশিরভাগ চা কলকাতা এবং গুয়াহাটির অকশন সেন্টারে পাঠানো হয়। এছাড়াও বাংলাদেশের শ্রীমঙ্গলের অকশনেও পাঠানো হচ্ছে। এটা উনাকোটি জেলার কালিয়াশহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটারের পথ।

ত্রিপুরাতে বর্তমানে ৫৪টি স্টেট, ২১টি প্রসেসিং সেন্টার এবং ৪ হাজারের বেশি চা শ্রমিক রয়েছে। ভারতের ১৬টি চা উৎপাদন প্রদেশের মধ্যে ত্রিপুরার অবস্থান পঞ্চম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close