চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

বিএনপি নেতা আমীর খসরু জামিনে মুক্ত

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক বলেন, রোববার জামিনের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে সোমবার সকালে আমীর খসরুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর আগে কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আমীর খসরুর ছয়

সপ্তাহের জামিন গত ৭ অক্টোবর শেষ হয়। সেদিন আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথিও পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানিতে উপস্থাপনের জন্য আদালত নির্দেশনা দেন।

এরই ধারাবাহিকতায় ২১ অক্টোবর আমীর খসরু চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধিতা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সঞ্জয় গুহ আদালতে ফোনালাপের অডিওটি বাজিয়ে শোনান। পরে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আমীর খসরুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন খসরু। বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ গত ৪ নভেম্বর তা মঞ্জুর করে তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।

এর আগে গত ৪ আগস্ট রাতে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। মামলার বাদী মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর একজন শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে এ মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব নিহত হয়। এ ঘটনার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার মধ্যে গত ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।

এটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় তাকে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close