নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

নির্বাচনী ইশতেহারে জলবায়ু পরিবর্তন থাকা জরুরি

বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে বিষয়টি থাকা জরুরি বলে মনে করছে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম নামে একটি সংগঠন। ইশতেহারে থাকা ছাড়াও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অঙ্গীকার বাস্তবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলছে তারা। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সুশাসন বৃদ্ধিতে জাতীয় নীতিমালা ও স্বতন্ত্র জলবায়ু কমিশন গঠনের অঙ্গীকার চাই শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ (এনসিসিবি) ট্রাস্টের কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সক্রিয় জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সুদৃঢ় অবস্থান রয়েছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাপেক্ষা বিপন্ন জনগোষ্ঠীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীদের জলবায়ু তহবিলে কার্যকরী অংশগ্রহণের বিষয়গুলো এখনো অমীমাংসিত।

‘এ কারণে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম এবং অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে সমন্বিত করতে একটি জলবায়ু নীতিমালা প্রণয়ন ও একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার কার্যক্রম বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এ সময় তারা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখের জন্য আটটি দাবি পেশ করেছে। দাবিগুলো হলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ), বিসিসিএসএপি ও ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি) সমন্বয়ে একটি জাতীয় জলবায়ু নীতিমালা প্রণয়ন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০ কে সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জলবায়ু কমিশন গঠন প্রভৃতি।

বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত ৪০টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সংগঠন প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে গঠিত হয়েছে। তাদের মতে এই একটি বিষয়ে তারা সবাই একমত হওয়ায় এ রকম যুগোপযোগী প্লাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close