নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ নভেম্বর, ২০১৮

ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ

আজ ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর শুরু হওয়া রক্তাক্ত এক অধ্যায়ের অবসান ঘটে এই দিনে। রক্তস্নাত অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানসহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে এই দিনে তৎকালীন সেনা উপপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে ওই সময়ের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির আপাত অবসান ঘটে। বিএনপি দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করলেও আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি সংগঠন ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। অন্যদিকে জাসদ দিনটিকে ‘সিপাহি জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে।

১৯৭৫ সালের এই দিনে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সিপাহি-জনতা আধিপত্যবাদী শক্তির নীলনকশা প্রতিহত করে দেয় বলে দাবি করে বিএনপি।

দলটির ভাষ্য, এভাবে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিল। জাসদসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ক্ষমতালিপ্সু অফিসারদের ক্ষমতা দখল-পুনর্দখলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে ইতিহাসের এই দিনে ‘সিপাহি-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান’ ঘটেছিল।

বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বরের ওই অভ্যুত্থান ঘটে। গত ৪০ বছরের অধিকাংশ সময় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে দিনটি সরকারিভাবে পালিত হয়েছে। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত দিবসটিতে সরকারি ছুটি ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ ছুটি বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ছুটি পুনর্বহাল করে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে ছুটি আবার বাতিল করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সে সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে।

দিনটি যার যার পৃথক অবস্থান থেকে পালন করতে বিএনপি, জাসদের বিভিন্ন গ্রুপসহ অন্যান্য রাজনৈতিক গ্রুপ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close