সংসদ প্রতিবেদক

  ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

শিশুদের বিচার হবে পৃথক আদালতে

দায়রা আদালতের সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষমতা দিয়ে শিশু আদালত প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার বিধান রেখে শিশু (সংশোধন) বিল ২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে। আইনে ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনে একই সঙ্গে কোনো শিশু জড়িত থাকলেও পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে একসঙ্গে প্রতিবেদন না দিয়ে শিশুর জন্য পৃথক প্রতিবেদন তৈরি করার এবং অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিশু হিসেবে পৃথকভাবে আমলে নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি পাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু কর্তৃক সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিচার করার জন্য প্রতি জেলায় এক বা একাধিক শিশু আদালত থাকবে। যেসব জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের অধীনে গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল থাকলে তা শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। তবে সেই ট্রাইব্যুনাল না থাকলে জেলার জেলা ও দায়রা জজ শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবেন। শিশু আদালত দায়রা আদালতের সব ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারবেন।

বিলের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, পুলিশ রিপোর্ট বা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কেন অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকলে, পুলিশ রিপোর্ট (জিআর মামলার ক্ষেত্রে), অনুসন্ধান প্রতিবেদন (সিআর মামলার ক্ষেত্রে) বা তদন্ত প্রতিবেদনে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে প্রস্তুত করে দাখিল করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, মামলা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে যেই আদালতে নিষ্পন্নাধীন সেই আদালত উদ্যোগ গ্রহণ করে স্থানান্তর প্রক্রিয়া শিশু (সংশোধন) আইন ২০১৮ কার্যকর হওয়ার ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করবে। তবে ওই সময়ের মধ্যে মামলা স্থানান্তর সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে স্থানান্তরকারী শিশু আদালতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত আরো ৪৫ কার্যদিবস সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিশু আইন, ১৯৭৪ যুগোপযোগী করে শিশু আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। এই আইন কার্যকর হওয়ার পর এর কিছু প্রয়োগিক সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় এর কতিপয় ধারা সংশোধনের নিমিত্তে শিশু (সংশোধন) আইন, ২০১৮ শীর্ষক বিলটি সংসদের বিবেচনার জন্য আনা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close