প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১১ অক্টোবর, ২০১৮

প্রবল বেগে অগ্রসর হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তিতলি ৪ নম্বর সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ আরো ঘনীভূত হয়ে প্রবল বেগে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

৪ নম্বর হুশিয়ারি সংকেতের মানে হলো বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত, বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে। আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তিতলি গত বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮১৫ কিলেমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ভারতীয় আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড় তিতলি আরো শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার মধ্যরাতের দিকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুর ও কলিঙ্গপত্তমের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ভারতের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থলভাগে ওঠার পর তিতলি কিছুটা বাঁক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে হতে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে আসতে পারে।

আর সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব বাংলাদেশের সুন্দরবন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা এলাকায় পড়তে পারে বলে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।

তবে বাংলাদেশে তিতলি কারণে শঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু এখনো দেখছেন না তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close