জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

  ১০ অক্টোবর, ২০১৮

পদ্ম শোভায় নয়ন জুড়ায়

এবার ভ্রমণপিপাসুদের নজরে পড়েছে হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গের পদ্মবিল। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন এখানে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে আসেন দর্শনার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, পদ্মবিলটি অপূর্ব, এর মায়াময় রূপ নয়ন ভরায়, চোখ জোড়ায়। সেখানকার পদ্মফুলগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। তা হলে ভবিষ্যতে এই বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সন্ধ্যা অবধি ভিড় ছিল পদ্মবিলে। অনেকে নৌকা করে পানি আর পদ্মফুল ছুঁয়ে দেখছেন। কেউ আবার সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। আর এতে অতি সহজেই এর প্রচারণা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। জানা গেছে, জেলার বানিয়াচং উপজেলার পুকুড়া ইউনিয়নের মুড়ারআব্দা হাওরে ১০ একক জায়গার ওপর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পদ্মবিলের অবস্থান। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন এখানে। দিন দিন দর্শনার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। পদ্মফুল ছাড়াও হাওরের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে আসছেন লোকজন।

হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কজেলের শিক্ষার্থী রুবিনা আক্তার বলেন, ‘হাওরে পদ্মবিলে কথা ফেসবুকে দেখেছি। আজ বাস্তবে আসতে পেরে ভালো লেগেছে। এখানে না এলে বোঝার উপায় নেই কত সুন্দর পদ্মবিল। পদ্মফুল দেখতে পেয়ে আমি আনন্দিত।’ একই কলেজের অপর শিক্ষার্থী শেফা আক্তার বলেন, ‘সাধারণত হাওরে পদ্মফুল দেখতে পাওয়া যায় না। এখানে এসে পদ্মফুল দেখতে পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত।’

হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রাইসা রাজরানী বলেন, নৌকাযোগে হাওরে পদ্মফুল দেখতে আসা অনেক এক্সাইটিং। পরিবারের সঙ্গে এখানে এসে সময় কাটাতে অনেক ভালো লেগেছে। ব্যবসায়ী রোটারিয়ান এমকে সোহাদ বলেন, হাওরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর।

শহরের হবিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার জানান, ‘বান্ধবীদের নিয়ে পদ্মবিলের সৌন্দর্র্য উপভোগ করেছি। পরিবার নিয়ে এলে আরো ভালো সময় কাটাতাম।’

ইকবাল আহমেদ নামের এক দর্শনার্থী অভিযোগ করে জানান, ‘অনেকেই পদ্মফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। এতে পদ্মবিলের সৌন্দর্য হারাচ্ছে। প্রশাসন পদ্মবিলটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন সম্প্রতি জেলা প্রশাসক পদ্মবিলটি ঘুরে দেখেছেন। বিলটি সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ জানিয়েছেন, বিলের জমির মালিকদের অন্যত্র জমি দিয়ে পদ্মবিলটি সংরক্ষণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close