নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০২ অক্টোবর, ২০১৮

সড়ক দুর্ঘটনা

দুই মাসে ঢাকায় নিহতদের সাতজনই মোটরসাইকেলের

গত দুই মাসে ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে সাতজনই মোটরসাইকেল আরোহী বলে জানিয়েছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।

তিনি বলেন, হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ার তথ্যে চমকে উঠতে হয়। ২০১৬ সালে মোটরসাইকেলের সংখ্যা সাত লাখ হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ২২ লাখ। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর মোটরসাইকেলের চালকরা অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন এবং তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ২০১৭ সালের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭ ভাগই মোটরসাইকেলের আরোহী। বিগত দুই মাসে ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫ জনের মধ্যে সাতজনই মোটরসাইকেল আরোহী।

বিগত বছরের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১৫ সালের দুর্ঘটনার সংখ্যা ২ হাজার ৬২৬, ২০১৬ সালে ২ হাজার ৩১৬, ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৩৪৯ এবং ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন নিসচা। কর্মসূচিগুলো হলো ২ থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত নিরাপদ সড়ক চাইয়ের উদ্যোগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পথনিরাপত্তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে, ৮ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত টাঙ্গাইল, বগুড়া, জয়পুরহাট, নরসিংদী ও কুমিল্লা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণরত শিক্ষকদের মধ্যে নিরাপদবিষয়ক কর্মশালা করা হবে, ১৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত, ১৪ অক্টোবর প্রেস ক্লাবের সামনে প্রশিক্ষিত লাইসেন্সধারী চালকদের সনদ বিতরণ, ২০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন, ২১ অক্টোবর র‌্যালি, ২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর দেশব্যাপী বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ও বাস টার্মিনাল ছাত্রীদের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদের নিরাপদ সড়ক চাইয়ের আন্দোলনের কারণে রাজধানীতে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। তবে তা পুরোপুরি পরিবর্তন করার জন্য কিছু সময় দরকার, কারণ মানুষের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তন হতে একটু সময় লাগবে। এ সময় তিনি জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীকেও কাজে লাগানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নিসচার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সৈয়দ এহসানুল হক কামাল, যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ, গণি মিয়া বাবুল, বেলায়েত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মিরাজুল মইন জয়, অর্থ সম্পাদক নাসিম রুমি, প্রচার সম্পাদক এ কে এম ওবায়দুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক সাফায়েত সাকিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিশু, কার্যনির্বাহী সদস্য ফিরোজ আলম মিলন, নাহিদ মিয়া প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close