নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পা হারাতে বসেছে শিশু রেশমা

ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার বলি হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে নাঙ্গলকোট উপজেলার ছোট্ট শিশু রেশমা আক্তার (৮)। সে উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের টুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। টুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে সে।

এর আগে রেশমা চার মাস ধরে লাকসাম পৌর সদরের ইউনিটি ট্রমা এন্ড জেনারেল হসপিটালের ডা. শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়ার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিল। ডা. শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়ার ভুল চিকিৎসায় শিশুটির ডান পায়ে পচন ধরেছে বলে জানিয়েছেন তার মা নার্গিস আক্তার। জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিলে রাস্তা পার হতে গিয়ে

সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় পায়ের গোড়ালীতে আঘাত পায় রেশমা। ওইদিন তাকে ইউনিটি ট্রমা এন্ড জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তাকে চিকিৎসা দেন ডা. শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়া। তিনি এখন জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিনি মাস খানেক চিকিৎসার পর অপারেশনের মাধ্যমে ভালো পা থেকে চামড়া নিয়ে দুর্ঘটনায় আঘাত পাওয়া পায়ে প্রতিস্থাপন করেন। আরো একমাস চিকিৎসা দিতে থাকেন। এরপর প্রতিস্থাপিত চামড়া জোড়া না লেগে সেখানে ধীরে ধীরে পচন ধরে। চার মাসে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা ও চিকিৎসার নামে ওই শিশুটির স্বজনের কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। সকল সহায় সম্বল বিক্রি করে তারা এই টাকার সংস্থান করেন।

শিশুটির মা নার্গিস আক্তার বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার চার মাস পর রেশমার পায়ের অবস্থার অবনতি ঘটলে, এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় গত ১৮ আগস্ট কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এখন সেখানে তৃতীয় তলার ২৩ নম্বর বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়া বলেন, আমি কুমিল্লার সেরা চিকিৎসক, আমার ওপর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো ডাক্তার নেই। রেশমাকে কোথায় কখন নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা আমি জানি না।

রেশমার বর্তমান চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ডা. কাজী এমরান আহমেদ বলেন, রোগীকে সুস্থ করে তুলতে আরো অনেক সময় লাগবে।

এ বিষয়ে গতকাল শনিবার কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, শিশুর পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষী হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close