প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মিষ্টি কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

সাধারণত বলা হয়ে থাকে- যারা বেশি মিষ্টি খায় তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। চিনি, শর্করা, সুগার, যে নামেই ডাকুন, গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানী আর ডাক্তারদের ক্রমাগত সতর্কবার্তার ফলে এটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনস্বাস্থ্যের এক নম্বর শত্রু। সরকার এর ওপর কর বসাচ্ছে। স্কুল আর হাসপাতালগুলো খাদ্যতালিকা থেকে মিষ্টি ও উচ্চ শর্করার খাদ্য বাদ দিয়ে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের খাবার থেকে চিনি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দিতে। আমরা সবসময়ই শুনছি, যারা বেশি মিষ্টি খায় তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। কিন্তু এর বিপরীতেও একটা কথা আছে। আসলে এসব স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য শর্করাই যে দায়ী, তা হয়তো না-ও হতে পারে।

ঠিক কীভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এই শর্করা, তা বের করতে গিয়ে কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এটা প্রমাণ করা খুব কঠিন। বিশেষ করে যখন তা উচ্চমাত্রার ক্যালরিসমৃদ্ধ খাদ্যের সঙ্গে খাওয়া না হচ্ছে।

গত পাঁচ বছরে একাধিক গবেষণার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কোনো এক দিনের খাবারে যদি ১৫০ গ্রামের বেশি ফরুকটোজ থাকে, তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টরলের মতো সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু গবেষকরা আরো বলেছেন যে, এটা তখনই ঘটে যখন আপনি উচ্চ ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে উচ্চমাত্রায় শর্করাসমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছেন। তারা আরো বলছেন, শুধু সুগারের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয় এটা বলা যায় না। তা ছাড়া, বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন যেকোনো একটি খাবারকে সমস্যার মূল কারণ বলে চিহ্নিত করারও অনেক বিপদ আছে। কারণ এর ফলে এমন হতে পারে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো খাবার হয়তো আপনি খাওয়া বন্ধ করে দিলেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উচ্চ মাত্রার ফরুকটোজসমৃদ্ধ কর্ন সিরাপ বা বাড়তি চিনিওয়ালা পানীয়, জুস ড্রিংক, মধু বা সাদা চিনি এগুলো হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করতে পারে, কারণ তা ধমনীর ভেতর ট্রাইগ্লিসারাইড জাতীয় চর্বি জমাতে ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন জরিপে এই বাড়তি যোগ করা চিনিসমৃদ্ধ খাবার বা পানীয়ের সঙ্গে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক দেখা গেছে। জেমস ম্যাযিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ্যালান লেভিনোভিৎজ বলছেন, এর একটা কারণ হলো, আমরা যে জিনিসটার আকর্ষণ ঠেকাতে পারি না সেটাকেই অশুভ হিসেবে চিত্রিত করি। মিষ্টি জাতীয় খাবারও সে রমকই। তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। সূত্র : বিবিসি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close