নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

দুইবার নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন ঝুঁকিতে : ইসি সচিব

কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল পরপর দুবার নির্বাচনে অংশ না নিলে ওই দলের নিবন্ধন ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, কমিশন থেকে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারা মিটিং করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রিসভায় যদি এটি অনুমোদন হয়, তাহলেই সংসদে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি কোন পর্যায়ে আছে তার তথ্য পাইনি। যদি এটি সংশোধন হয়, তাহলে ভালো; আর না হলেও তার প্রস্তুতি আছে। আগের আরপিও দিয়েও নির্বাচনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব। ফলে বিদ্যমান আরপিও দিয়ে সংসদ নির্বাচন হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে এ কথা বলেন তিনি।

ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আরপিও সংশোধন হলে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এই সংসদ নির্বাচনে এগুলো ব্যবহার করা না হলেও পরবর্তীতে স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ৩০ অক্টোবরের পরে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আর ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুতি হিসেবে এ নির্বাচনের জন্য ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তালিকা পেয়েছি। এগুলো মোটামুটি ফাইনাল হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ১০ আঞ্চলিক অফিসে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে। প্রতিদিনই কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। যারা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করবেন, তাদের তথ্যগুলো আমরা সংগ্রহ করছি। এদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। তফসিল ঘোষণার পর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলভিত্তিক বা জেলাতে হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের প্রতিটি শাখার সঙ্গে আমরা কথা বলছি। নির্বাচনে কোথাও যাতে কোনো ভুল-ভ্রান্তি না হয়। সে বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। সামনে নির্বাচন কমিশন সভায় যাতে সব ধরনের তথ্য তুলে ধরা যায়, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারি, বেসরকারি অফিস, ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৩০০ আসনের একসঙ্গে নির্বাচনের জন্য অনেক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দরকার হয়। ইতোমধ্যে যারা প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন, নিরপেক্ষ ব্যক্তি এবং যাদের বিরুদ্ধে দলীয় তকমা লাগার অভিযোগ নেই, এমন লোকদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close