প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তিন জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

ঢাকার মিরপুর, সাভার ও মাদারীপুরে ‘বন্দুুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া লালমনিরহাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার ভোরে ও রোববার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবরÑ

ঢাকা : মিরপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, একদল মাদকবিক্রেতা একত্রিত হয়েছে এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে র‌্যাব-২ সদস্যরা মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় মাদক বিক্রেতারা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে এক মাদক বিক্রেতার মৃত্যু হয়।

তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় র‌্যাবের দুই সদস্যও আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

মাদারীপুর : মাদারীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত হালদার জানান, সদর উপজেলার শিরখাড়া এলাকায় ভোরে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেÑ এমন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলীম মোল্লা ওরফে আলী মোল্লা নামে একজন নিহত হন। মাদারীপুর ও রংপুরসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে। তিনি ডাসার থানার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের সামসুল হক মোল্লার ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সাভার (ঢাকা) : সাভারে মাদকদব্য পাচারকালে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাদকবিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

নিহত আসাদুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা, চার কেজি গাঁজা, একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে।

লালমনিরহাট : সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ মনসুর আলী নামে এক ডাকাত সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মনসুর আলী অপহরণ ও মাদকের ১১টি মামলার আসামি।

সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, রোববার রাতে উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বিদ্যাবাগিশ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ মনসুর আলী ওই গ্রামের নিয়াজ উদ্দিন আহমেদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে বিদ্যাবাগিশ এলাকা থেকে মনসুর ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে বাকিদের গ্রেফতার করতে তাকে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ডাকাত চক্রটি পুলিশের ওপর হামলা করে মনসুরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ শর্টগানের দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মনসুর দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চারটি রামদা, দুইটি ধারালো ছোরা ও বেশ কয়েকটি লাঠি জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সুমন মিয়া (২৮) নামে এক মাদক বিক্রেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার রাতে উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের চাকলা হল মোড় এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। গুলিবিদ্ধ সুমন মিয়া আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের ইরমানুল হক মাস্টারের ছেলে ।

কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাদল কুমার মন্ডল জানান, মাদকের চালান নিয়ে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে একটি চক্র চলবলা ইউনিয়ন অতিক্রম করছে এমন খবরে চাকলা হল মোড় এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক বিক্রেতারা পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশও শর্টগানের চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে সুমনের দুই পায়ে দুইটি গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১০০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close