নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র ওসমান গনির দাফন সম্পন্ন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গনির মরদেহ গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তার মরদেহ গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে (আজাদ মসজিদ) আনা হয়। বাদ জোহর ওই মসজিদে তার প্রথম জানাজা হয়। তার মরদেহ ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে আনা হয়। সেখানে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রাখা হয়। এ সময় ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান। পরে মরদেহ তার নিজ এলাকায় বাড্ডায় নেওয়া হয়। বাদ আসর আলাতুনন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছিলেন। তিনি স্ত্রী ও চার ছেলেসন্তান রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে ডিএনসিসি তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। কাল বাদ আসর ডিএনসিসির নগর ভবনে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল গুলশান আজাদ মসজিদে তার জানাজার আগে ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন স্মৃতিচারণা করে বলেন, আমার কিশোর বয়স থেকে আমি ওসমান গণি চাচাকে চিনি। তিনি একজন অত্যন্ত ভালো মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি সব আন্দোলন-সংগ্রামে নিঃস্বার্থভাবে জনগণের জন্য কাজ করে গেছেন।

এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি বলেন, মরহুম ওসমান গণি আমার রাজনৈতিক সঙ্গী। দীর্ঘদিন একসঙ্গে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি অত্যন্ত সৎ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন সদালাপী ও মিষ্টভাষী মানুষ।

এ সময় আরো বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদ হাসান, প্যানেল মেয়র-২ মো. জামাল মোস্তফা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম এবং প্রয়াত প্যানেল মেয়রের ছেলে ব্যারিস্টার মিয়া মোহাম্মদ মাসুম গণি তাপস প্রমুখ।

ডিএনসিসি ও মরহুম প্যানেল মেয়রের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মো. ওসমান গনি। বারডেমে চেকআপ করালে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। গত ১৪ আগস্ট সরকারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে সিঙ্গাপুর যান। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।

ডিএনসিসির প্রথম নির্বাচিত মেয়র আনিসুল হক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর মো. ওসমান গনিকে প্যানেল মেয়র নিয়োগ দেয় সরকার। আনিসুল হকের মৃত্যুর পরও প্যানেল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ডিএনসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। মরহুমের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। ১৯৬৬ সালে সাঁতারকুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৬৯ সালে তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ১৯৭৩ সালে তিতুমীর কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ১৯৭৫ সালে গুলশান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে গুলশান থানা হলেও একই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের দু-দুবার সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close