প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের দ্বার খুলল

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের দ্বার সর্বসাধারণের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সকালে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে এই ভবন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে গ্রন্থাগার খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সৈকত মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই ভবনের দ্বার খুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীসহ বিশ্বভারতীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছিলেন বিশ্বভারতী পরিদর্শনে আসা পর্যটকরাও।

বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপূজা পর্যন্ত বাংলাদেশ ভবন দর্শনের জন্য কোনো অর্থ লাগবে না। তবে পূজার পর অর্থ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেছেন, বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ওই দুই দিন বন্ধ থাকবে বাংলাদেশ ভবনও।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ভবন খুলে দেওয়ার জন্য আসা শিক্ষার্থী ও অতিথিদের ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পরে ভবনের ভেতর আর ছবি তুলতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ ভবন আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২৫ মে উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ ভবনের গ্রন্থাগার ও জাদুঘরের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় বিশ্বভারতী বলেছিল, ২২ শ্রাবণ কবি গুরুর প্রয়াণ দিবসের দিন এই ভবনের দ্বার সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এই ভবনের গ্রন্থাগার এবং জাদুঘরকে আরো আধুনিক এবং উন্নত ও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এবং সেখানে অতিরিক্ত স্মারক, রেপ্লিকাসহ বিভিন্ন তথ্য সংযুক্ত করার জন্য আরো কিছুটা সময় নেয় বিশ্বভারতী।

বাংলাদেশ ভবন গড়া হয়েছে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর ইন্দিরা গান্ধী সেন্টার আর শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের কাছে। এই ভবন নির্মাণের জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিয়েছিল ২ বিঘা জমি। আর এই জমিতেই বাংলাদেশ সরকার ভবন নির্মাণের জন্য দিয়েছিল ২৫ কোটি রুপি। এই ভবন নির্মাণ হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ও ডিজাইন অনুযায়ী। ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে।

এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনবিশিষ্ট একটি মিলনায়তন। অনুষ্ঠান করার সর্বাধুনিক মঞ্চ। রয়েছে দুইটি সেমিনার হল। একটি গ্রন্থাগার, একটি জাদুঘর, একটি গবেষণা ঘর, একটি ফ্যাকাল্টি কক্ষ এবং একটি বড় মাপের ক্যাফেটেরিয়া।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close