প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত, আতঙ্ক

ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে নদ-নদী তীরের ভাঙন। ঘরবাড়ি, স্থাপনা, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, ফসলি জমি, গাছপালা ভাঙনে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার নদ-নদী তীরবর্তী মানুষ। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ

গাইবান্ধা : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদ, জেলা শহরের ঘাঘট নদী, গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া ও সুন্দরগঞ্জের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি পুরাতন ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ১৭৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পেছনে গোয়ালের ঘাট পয়েন্টে ১২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এসব নদ-নদীর নি¤œাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অনেক পথঘাট ডুবে গেছে। আরো পানি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি জানায়, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদে প্রলংয়করী ভাঙন শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ও চরশৌলমারী ইউনিয়নে নদের তীরের গ্রামগুলোতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্ব পাড় বাম তীরের ১২টি গ্রাম একযোগে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো হলো উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ারচর, দক্ষিণ বাগুয়ারর, দক্ষিণ বলদমারা পূর্বপাড়া, বাইসপাড়া, কুটিরচর (ফলুয়ারচর), বাঘমারা, চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরইটালুকান্দা, সাহেবের আলগা, চর গেন্দার আগলা, চরঘুঘুমারী, ঘুঘুমারী, উত্তর খেদাইমারী, পশ্চিম পাখিউড়া, পাখিউড়া।

নদের তীরবর্তী এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, কাঁচা পাকা রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে অস্থায়ীভাবে বাগুয়ারচর গ্রাম রক্ষায় বাঁশের বান্ডল তৈরি করা হয়েছিল, ব্যাপক ভাঙনে তাও টিকছে না। ব্রহ্মপত্র নদের পূর্ব পাড় (বামতীর) স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করে প্রেরণ করা হয়েছে। একনেক সভায় অনুমোদন হলে স্থায়ী কাজ হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close