ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও কুমিল্লার হোমনার তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় দেশের প্রথম ‘ওয়াই’ আকৃতির সেতুর উদ্বোধন আজ রোববার। সেতুটি প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করবেন।

এদিকে, উদ্বোধন ঘিরে চলছে সাজ সাজ রব। রং, লাইটিং, বিভিন্ন রঙের পতাকায় সেজেছে সেতুটি। সেতু চালু হলে বদলে যাবে বাঞ্ছারামপুর, হোমনা ও মুরাদনগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ত্রিমোহনার দুই অংশে বাঞ্ছারামপুরের ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়া, অপরটি পশ্চিম অংশে কুমিল্লার হোমনার রামকৃষ্ণপুর এলাকায় সংযুক্ত হয়েছে। সেতুটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান প্রতিদিন।

গতকাল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এ বি তাজুল ইসলাম (অব.) ওয়াই ব্রিজ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠান সফল করতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাধানে ২০১১ সালের ১৬ জুন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার দৈর্র্ঘ্য এবং ৮ দশমিক ১০মিটার প্রস্থের সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়। সেতুটিতে ২৫টি পিলার, ২৪টি স্প্যান রয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

তিতাস নদীর ওপর এ সেতু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও কুমিল্লা দিয়ে ব্যবহৃত হবে বলে জানায় এলজিইডি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে এলাকাবাসীর দাবিতে ওয়াই সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা তিতাস সেতু’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। সেতুটি বাঞ্ছরামপুর, হোমনা ও মুরাদনগর উপজেলার জনগণের কৃষি অর্থনীতি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

"