আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

প্রথম কলাম

ট্রাম্পের কান্ড...

কত ঘটনাই না ঘটালেন তিনি। একেক সময় একেক বিতর্কিত কাজ করেই যাচ্ছেন তিনি। এতে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও তাতে কিছুই আসে যায় না তার! তবে এবার তথ্য ফাঁস হয়েছে, যা দ-নীয় অপরাধই বটে। বলছি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের স্বাগত অনুষ্ঠানে লোকসমাগম বেশি দেখানোর জন্য ছবি সম্পাদনা করিয়েছিলেন তিনি। সরকারি সেসব ছবি সম্পাদনার কথা স্বীকারও করেছেন সরকারি আলোকচিত্রী। ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার অনুষ্ঠানের চেয়ে লোকসমাগম অনেক কম হওয়ার দৃশ্য ছবিতে ফুটে ওঠায় ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। তার হস্তক্ষেপে ছবিগুলো সম্পাদনা করতে হয়। ছবির যে অংশ জনশূন্য ছিল, তা ‘ক্রপ’ করে ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়। ট্রাম্পের পক্ষে কোনো এক ব্যক্তির করা অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে দেশটির মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ের প্রতিবেদনে। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় দেশটির স্বরাষ্ট্র বিভাগের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনটি পায় দ্য গার্ডিয়ান। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুনভাবে প্রচারিত তথ্যে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে ফাঁকা জায়গাগুলো ক্রপ করে বাদ দেওয়া হয়েছে। ওপর থেকে একই রকমভাবে তোলা ছবিতে দেখা যায়, বারাক ওবামার অনুষ্ঠানে লোকসমাগমে শেষ জায়গাটুকু পর্যন্ত পূর্ণ হয়েছে। একই রকমভাবে তোলা ট্রাম্পের অনুষ্ঠানের ছবিতে দেখা যায়, শেষের বড় অংশজুড়ে লোকসমাগম নেই, ফাঁকা রয়েছে সেই স্থান। ছবিতে বারাক ওবামার চেয়ে তার অনুষ্ঠানে লোকসমাগম কম দেখা যাওয়ার চিত্র ফুটে ওঠায় ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। তার অনুরোধে পরে সেই ফাঁকা স্থান সম্পাদনা করে ওই সময়ের ছবির নতুন সেট প্রকাশ করা হয়। সরকারি ফাইলে নতুন এই ছবিগুলো রাখা হয়েছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মাধ্যমে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ওপর প্রথম স্ব-আরোপিত সংকট তৈরি করা হয়। অথচ ওই সময় হোয়াইট হাউস মিথ্যা দাবি করেছিল যে ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি লোক এসেছিল। রেকর্ড থেকে জানা যায়, গত বছরের ২১ জানুয়ারি সকালে ট্রাম্প ও ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের (এনপিএস) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মাইকেল রেনল্ডসের ফোনে কথা হয়। হোয়াইট হাউসের তথ্যসচিব সিন স্পাইসার এনপিএসের কর্মকর্তাদের ওই দিন বারবার ফোন করেন ছবি পরিবর্তন করে ‘তোষামোদ’ মার্কা ছবি বানানোর জন্য।

তবে রেকর্ড থেকে এটা স্পষ্ট হয়নি কোন ছবিগুলো সম্পাদনা করা হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় প্রকাশ করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র বিভাগের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এই বিষয়ে উল্লেখ নেই। গত বছর জুনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ওই আলোকচিত্রী জানিয়েছেন, অফিস যেভাবে চেয়েছিল, সেভাবেই তিনি ক্রপ করেছেন। কিন্তু তাকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি যে ছবিতে লোক বেশি দেখাতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close