চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের পাশে স্কুলছাত্রীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ছাত্রীর পাশে এক যুবককে গলায় রক্তাক্ত জখমসহ পাওয়া গেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল শনিবার ঘটনা দুইটি ঘটেছে পটিয়া উপজেলার দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের বেলতল এলাকায়।

নিহত স্কুলছাত্রীর নাম রিমা আক্তার (১৩)। সে উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্ঠম শ্রেণির ছাত্রী এবং হাইদগাঁও ইউনিয়নের মঞ্জুরুল আলমের মেয়ে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবকটির নাম মাসুদ (১৭)। সে এলাকায় রাজমিস্ত্রি কাজ করত। তার বাড়ি পটিয়া পৌর সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরভা-ারের পুরাতন বাড়ি এলাকায়। পটিয়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে আহত যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠান।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনের পাশে যুবকটি নড়চড়া করলেও মেয়েটির নিথর দেহ মাঠিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত স্কুলছাত্রীটির পরনে ছিল স্কুল ইউনিফর্ম।

মেয়েটির গলার ডান পাশে থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মেয়েটির মুখে পাঁচ-ছয়টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যুবকটির গলাও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ছেলেটির হাতটি রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। ঘটনার পর পর স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেঁচে থাকা রক্তক্ষরণ অবস্থায় যুকটিকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

দক্ষিণভূর্ষি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জায়েদুল হক জানান, স্কুলছাত্রী ও যুবককে বিলের ওপর পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তার ধারণা যুবকটি মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যার পর নিজেই গলায় ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেছে।

পটিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ জানান, প্রাথমিকভাবে এ ঘটনা আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। বেঁচে থাকা যুবকটিকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলটি রেলওয়ে পুলিশের আওতায় হওয়ায় জিআরপি থানা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।

"