খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

  ২১ আগস্ট, ২০১৮

বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি ইউপিডিএফের

স্বনির্ভর হত্যাকা্েডর ৪৮ ঘণ্টা পর পুলিশের মামলা

খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজারে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, হত্যাকান্ডের পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিহতদের স্বজনরা থানায় মামলা করতে আসেনি। তাই ন্যায় বিচারের স্বার্থে গতকাল সোমবার সকালের দিকে এসআই গৌতম চন্দ্র দে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

এদিকে, এই হত্যা তদন্তে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু ইউসুফকে আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত ৪ সংগঠন।

গতকাল সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত প্রেস বিবৃতিতে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টভুক্ত (ইউপিডিএফ) ৪টি সংগঠন কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভানেত্রী নিরূপা চাকমা ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি সচিব চাকমার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে তারা বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্বনির্ভর বাজার এলাকায় এত বড় হত্যাযজ্ঞ পুলিশের সামনেই হয়েছে। তাই প্রশাসনের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে এ ঘটনার তদন্ত করা কখনোই সম্ভব নয়।

স্বনির্ভর-পেরাছড়া হত্যাকান্ডকে ঠান্ডা মাথায় সংঘটিত একটি পূর্ব পরিকল্পিত গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে নেতারা বলেন, এই বর্বর হত্যাযজ্ঞ কেবল ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজানে সংঘটিত জঙ্গিদের হামলার সঙ্গে তুলনা করা যায়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার খাগড়াছড়িতে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) সমর্তীত ৩ নেতাকর্মীসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফকে (গণতান্ত্রিক) দায়ী করেছে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে জেএসএস (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close