নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ আগস্ট, ২০১৮

গাবতলীর চমক উট ‘জামাল’

বাংলাদেশের মানুষ গরু-ছাগল দিয়েই কোরবানি দিতে অভ্যস্ত। তবে এবার রাজধানীর গাবতলীর গরুর হাটে এসেছে মরুভূমির জাহাজখ্যাত উট। তার নাম ‘জামাল’। এই উট কেনার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো গরুর মধ্যে রয়েছে এই উট। ফলে এখানে মানুষের ভিড় একটু বেশি। তরুণরা কেউ সেলফি তুলছেন, কেউ একনজর দেখার জন্য কাছে এসে উঁকি দিচ্ছেন। কেউ দাম জিজ্ঞেস করছেন। আবার কেউ জানতে চাইছেন, কোন দেশ থেকে আনা হয়েছে? তবে এমন সব প্রশ্নে বিরক্ত উটটির মালিক। উটটি বসে বসে অলস সময় পার করছে। তবে এ প্রতিবেদকের অনুরোধে উটটিকে উঠিয়ে দাঁড় করানো হয়। এ সময় পাশে থাকা শিশু-কিশোররা ব্যস্ত হয়ে পড়ে সেলফি তুলতে। উটের পাশে দুটি দুম্বাও বাঁধা আছে।

আমজাদ বেপারি উট ও দুম্বা দুটি কিনে এনেছেন পাশের দেশ ভারতের রাজস্থান থেকে। প্রতি বছরই আনেন উট ও দুম্বা। মূলত কোরবানির বাজার উপলক্ষেই তার এই উটের ব্যবসা। গত বছর ব্যবসা ভালো যায়নি। তাই এবার একটি উট তুলেছেন হাটে। গত বছর কিনে আনার পর থেকেই উটটি রাখা হয়েছে গাবতলী হাটে।

আমজাদ বেপারির ছেলে কবির হোসেন উটের পাশে চেয়ারে বসেই আগন্তুকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি উটটির দাম হাঁকিয়েছেন ১৮ লাখ টাকা। আর দুম্বা দুটির দাম চাইছেন সাত লাখ টাকা। কবির হোসেন বলেন, প্রতি বছরই এ হাটে উট আর দুম্বা বিক্রি করে থাকেন। মূলত ভারত থেকেই আনা হয় এসব পশু। অনেকেই উৎসাহ থেকে এসব পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তবে এবার একটি উট আর দুটি দুম্বা আনা হয়েছে। উটের দাম ১৮ লাখ আর দুম্বা জোড়ার দাম চাইছি সাত লাখ টাকা। সরেজমিনে গাবতলী হাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হাট এলাকায় ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে আনা হচ্ছে কোরবানির পশু। ওই সময় গরু ব্যবসায়ীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, হাট এলাকার অভ্যন্তরীণ রাস্তার দুরবস্থার কারণে কোরবানি পশু নিয়ে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আলাপচারিতায় বেপারিরা জানান, গাবতলীতে গরুর ট্রাকগুলোর বেশির ভাগ সাতক্ষীরা, যশোর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারিসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে আসে। উট আর দুম্বা আসে ভারত থেকে। গাবতলীতে উট নিয়ে এসেছেন মধ্যবাড্ডা এলাকার সাদ্দাম হোসেন।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে গাবতলী হাটে গরু বিক্রি করতে আসা বেপারি হাসমত বলেন, চার দিন ধরে গাবতলী হাটে আছি। প্রথম ধাপে আনা ১৫টি গরুর মধ্য থেকে তার ১০টি গরু বিক্রি হয়েছে। মহিষের বেপারি কুষ্টিয়ার বেনজীর বলেন, ‘দুই গাড়ি (৩৫টি) মহিষ এনেছি। গতকাল পর্যন্ত ১৭টি বিক্রি হয়েছে।’ গরু ব্যবসায়ী নেকবার আলী বলেন, ৩০ বছর ধরে গাবতলী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করছি। গড়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০টি গরু বিক্রি হয়। গত চার দিনে তিন লাখ টাকা দরে সাতটি কোরবানির গরু তিনি বিক্রি করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close