নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৮

গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসে ব্রি’র সফলতা

বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও পৃথিবীর উষ্ণতা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ও হ্রাস নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে, ধানখেতে নিয়ন্ত্রিত সেচ দেওয়া হলে প্রায় ৩৫ শতাংশ কার্বনডাই-অক্সাইড নির্গমন কম হয়। গবেষকরা নিয়ন্ত্রিত এ সেচের নাম দিয়েছেন পর্যায়ক্রমে ভিজানো ও শুকনো পদ্ধতি। এ পদ্ধতি বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। আমাদের দেশে প্রধানত আমন ও বোরো মৌসুমে ধান চাষ হয়। আমন মৌসুমের তুলনায় বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন প্রায় দেড়গুণ বেশি। তবে বোরো মৌসুমের ধান চাষ সম্পূর্ণভাবে সেচের পানির ওপর নির্ভরশীল। এতে একদিকে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে। যা ভূমিধসসহ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ব্রির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ধানখেত থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর চেষ্টা করছিলেন। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, পর্যায়ক্রমে ভিজানো ও শুকনো পদ্ধতিতে প্রায় ৪০ শতাংশ মিথেন গ্যাস নির্গমন কম হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে ভিজানো ও শুকনো পদ্ধতিতে সব সময় পানি দাঁড়ানো জমির ধানখেতের তুলনায় প্রায় ৩৫ শতাংশ কার্বনডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করতে পারে। এতে একদিকে যেমন পানির অপচয় কমে, অন্যদিকে বাড়ে উৎপাদন।

‘ব্রি’র মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম মফিজুল ইসলাম ওই বিষয়ের ওপর তার পিএইচডি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষিজমির ৮৫ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়। এসব জমি থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস যেমন, মিথেন, কার্বনডাই-অক্সাইড ও নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত হয়। পর্যায়ক্রমে ভিজানো ও শুকনো পদ্ধতিতে সেচ দিলে একদিকে যেমন সেচের পানি সাশ্রয় হবে, অন্যদিকে এটি ধানের জমি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হ্রাস করবে, যা বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close