বিশেষ প্রতিনিধি

  ১৫ আগস্ট, ২০১৮

সেই শহিদুলের অনিয়ম তদন্তে মাঠে দুদক

রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির সেই কর্মচারী শহিদুলের অনিয়মের তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শহিদুলের অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির কর্মচারী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৮০ লাখ টাকা অনিয়মের তদন্তে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হলো।

সূত্রমতে, শহীদুল ইসলাম রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ‘অফিস সহাকারী কাম হিসাবরক্ষক’ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। যদিও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এই নামে কোনো পদই নেই। এরপর থেকে ২০১৫ সালে এবং পরের বছর ২০১৬ সালে দুটি পৃথক তদন্তে তার বিরুদ্ধে নানারকম ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকা-ের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রথম তদন্তটি করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্ম সচিব মঞ্জুরুর রহমান (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা)। এই তদন্তে তিনি শহীদুল ইসলামকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেন। পরের তদন্তটি করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব (যগ্ম সচিব) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি শহীদুল ইসলামের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও দাফতরিক কাজে অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। একাডেমির প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, নথিপত্র বুঝে না দেওয়া, বহিরাগতদের নিয়ে সন্ধ্যার পরে আড্ডা, দাফতরিক কাজ কর্মসহ সাংস্কৃতিক কর্মকা- প্রসারে বিঘœ সৃষ্টি করার কথা উল্লেখ করেন। এসব তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে শহীদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া জন্য পর পর পাঁচটি চিঠি দেওয়া হয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তার স্থানীয় নিয়োগ বাতিল করা হয় এবং তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন রাজশাহীর কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close