নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ আগস্ট, ২০১৮

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

রাস্তাঘাটে চাঁদাবাজি না করার অঙ্গীকার হিজড়াদের

হিজড়া হিসেবে পরিচিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা আর পার্ক ও রাস্তাঘাটে চাঁদাবাজি না করার অঙ্গীকার করেছেন। তবে শিশুর জন্মের পর বাড়ি থেকে বকশিশ গ্রহণের বিষয়টি তারা আপাতত ছাড়তে পারবেন না। গতকাল শুক্রবার হিজড়াদের বিভিন্ন দলের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় তার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা এই অঙ্গীকার করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আমার কাছে শপথ নিয়েছে। তারা পার্ক ও রাস্তাঘাটে চাঁদাবাজি করবে না। তাদের জন্য আমরা একটা রূপরেখা করেছি। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে আমাদের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। তবে কোনো বাসায় নতুন সন্তান জন্ম নিলে তারা আগের মতোই বকশিশ গ্রহণ করবেন বলে জানান হিজড়া নেতারা। তবে এ ক্ষেত্রে জোর জবরদস্তি করা হবে না বলে অঙ্গীকার করেন তারা। অপূর্ণাঙ্গ যৌনাঙ্গ নিয়ে জন্ম নেওয়া এই মানুষগুলোর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি মানবিক সেটা বলা যাবে না। শৈশব থেকেই নিজেদের অপাংক্তেয় ভাবতে বাধ্য হওয়া মানুষগুলো পড়াশোনা করে স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবিকার পথে আগায় কমই। আর জীবিকার সংস্থান না থাকায় মানুষের কাছ থেকে সহায়তা গ্রহণ করেই বাঁচতে হয়। আর এই কাজ করতে গিয়ে বাসসহ গণপরিবহন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি বাসা বাড়িতে গিয়ে হানা দিচ্ছে তারা। আর তাদের আচরণে সাধারণ মানুষও নানা সময় বিরক্তি প্রকাশ করে আসছে।

তবে সরকার এই মানুষদের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে চাইছে। তাদেরকে ভোটাধিকার দেওয়া, প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান ও বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার উপযোগী করে তুলতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিজড়ারা আমাদেরই সন্তান। তারা কীভাবে চলবে, কীভাবে ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজের আয় নিজেই করে একটা ভালো মানুষ, উপযুক্ত নাগরিকের মতন চলবে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি রূপরেখা আমাদেরকে দিয়েছেন। সে অনুযায়ী, কাজও হচ্ছে। এ বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করে তারাও আমাদের সহযোগিতা করছেন। মারজান নামের একজন হিজড়াদের মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছেন এবং তার উদ্যোগেই এই বৈঠক হয়। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেও ধন্যবাদ জানান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close