কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ২২ জুলাই, ২০১৮

মাদকের নেশায় গাড়ি ভাঙচুর পুলিশের গুলিতে কাবু

কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্র লালদীঘির পাড় এলাকায় হঠাৎ বাস কাউন্টারে এসে চারটি বাস ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন এক মাদকাসক্ত ব্যক্তি। তাকে থামাতে গেলে চাপাতি দিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করেন তিনি। তখন গুলি ছুড়ে পুলিশ। এতে কাবু হন তিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। এ ঘটনা গতকাল শনিবার সকালের।

এদিন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে আটক মো. জাহিদুর রহমান (৪৭) লালদীঘির পাড় এলাকার এম রহমান সিটি সেন্টারের মালিক মফিজুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাহিদুর রহমান মাদকাসক্ত। এর আগেও কয়েকবার ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। শনিবার সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে আচমকা রড ও পেট্রল নিয়ে এস আলম পরিবহনের তিনটি ও সৌদিয়া পরিবহনের একটি এসি বাসে ভাঙচুর চালান। এক পর্যায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় টহলরত পুলিশ তাকে বাধা দিতে গেলে ঘর থেকে চাপাতি নিয়ে বের হয়ে মাথায় হেলম্যাট পরে পুলিশকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে তাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ গুলি ছুড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদিকে, ৪টি বাস ভাঙচুরের ঘটনায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ঢাক দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। এস আলম পরিবহনের ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে আটক দুষ্কৃতকারী জাহিদের বিরুদ্ধে মামলাসহ সকল প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, বিনা কারণে জাহিদ হঠাৎ এসে এস আলম পরিবহনের বাসে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে হাতে থাকা পেট্রল দিয়ে একটি সৌদিয়া পরিবহনের এসি বাস ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে বাধা দিতে গিয়ে ৩ জন কর্মচারী আহত হয়। এতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, শহর পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ শহরের লাল দিঘীর পাড় এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল। ওই সময় হঠাৎ জাহিদুর রহমান নামের ওই লোক গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। আর পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছিল গাড়িতে। পরে পুলিশ তাকে বাধা দিতে গেলে ওই ব্যক্তি চাপাতি দিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। তখন পুলিশ বাধ্য হয়ে তাকে গুলি করে। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার ঘরে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে। এই হামলাকারীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist