আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আবিষ্কার হলো রঙিন এক্স-রে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে আরেক ধাপ অগ্রগতি
সার্ন (ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ)-এর বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ গবেষণায় ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) রঙিন এক্স-রে আবিষ্কার করে চিকিৎসাবিজ্ঞানকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিলেন। এই আবিষ্কারের ফলে রোগ নির্ণয় আরো সহজ হবে। মূলত কণা সন্ধানী প্রযুকিকে (পার্টিকল ট্র্যাকিং টেকনোলজি) কাজে লাগিয়ে এই আবিষ্কার করেছেন সার্ন-এর বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের মতে, এই আবিষ্কারের ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশের ছবি আরো স্পষ্ট ও নির্ভুল হবে। কারণ এ পদ্ধতিতে শরীরের কোষ, কলা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া সম্ভব হবে। এক্স-রে চালু পদ্ধতিতে শুধুই দ্বিমাত্রিক (বাই ডাইমেনশনাল বা টু-ডি) ছবি পাওয়া সম্ভব হয়।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলছেন, সাদা-কালো ছবি ওঠায় অনেক সময়ই শরীরের ভেতরের প্রদাহ, রক্তজমা বা অস্বাভাবিক কোনো রং আমাদের চোখে ধরা পড়ত না। রঙিন এক্স-রে প্লেট হলে রোগ নির্ণয়ে অনেকটাই সুবিধা হবে। সার্ন-এর গবেষক দলের প্রধান ফিল বাটলারের দাবি, আর কোনো যন্ত্রই এত নির্ভুল ছবি তুলবে না। হিগস-বোসন কণার সন্ধান দেওয়া সার্নের বিখ্যাত লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারের মাধ্যমেই এই আবিষ্কার করেছেন তারা। বিশেষ রঙিন এক্স-রে দেহের অস্থি, তরুণাস্থি ও পেশিগুলোকে আরো স্পষ্ট করে তুলে আঘাতের সঠিক উৎপাদনস্থল ও তার অবস্থা নির্ণয়ে সক্ষম হবে। শুধু তা-ই নয়, এর মাধ্যমে টিউমারের উপস্থিতিও শনাক্ত করা যাবে। এই যন্ত্রের ব্যবহারে চিকিৎসাবিজ্ঞান অনেকটাই এগোবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। সার্নের এই প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের এক বহুজাতিক কোম্পানি। তাদের এই কাজে সাহায্য করছে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবেরি। সূত্র : আনন্দবাজার।
"