আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রথম জনসম্মুখে থাই কিশোররা
‘আমরা মাটি খুঁঁড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি’
প্রথমবারের মতো সবার সামনে এসে মুখ খুলল থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া কিশোর ফুটবল দলের সদস্যরা। তারা দুর্বিষহ ও রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা করেছে। তাদের কোচ এক্কাপল বলেছেন, ‘উদ্ধারকারীর কখন পৌঁছাবেন, আমরা শুধু সেই আশায় বসেছিলাম না। আমরাও মাটি খুঁড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি।’ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর গতকাল বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তারা। এ সময় তাদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। সে দেশের প্রথাগত সম্ভাষণ ‘ওয়েই’ বলে তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের স্বাগত জানান। বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, বুধবার থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াংরাইয়ে উদ্ধারকৃত কিশোরদের সংবাদ সম্মেলনে হাজির করে কর্তৃপক্ষ। ‘ওয়াইল্ড বোর’ ফুটবল টিমের লাল-হলুদ জার্সি পরে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছাবিনিময় করেন।
তাদের কোচ এক্কাপল বলেন, ‘উদ্ধারকারী কখন পৌঁছাবেন; আমরা শুধু সেই আশায় বসেছিলাম না। আমরাও মাটি খুঁড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
ফুটবল দলের আরেক সদস্য সংবাদ সম্মেলনে বলে, ‘আমরা বৃষ্টির পানি খেয়ে বেঁচে ছিলাম। এভাবেই জীবনধারণ করতে হয়েছে।’
গত ২৩ জুন ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করেন। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি সেখানে আটকা পড়ে। ১০ দিন পর ডুবুরিরা গুহায় তাদের সন্ধান পান। ওই কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে।
এরপর একপর্যায়ে ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে থাই কর্তৃপক্ষ। আটকে পড়া কিশোরদের কাছে অক্সিজেন সরবরাহ করে ফেরার পথে অক্সিজেন ঘাটতির কারণে এক ডুবুরির মৃত্যুও হয়।
গত ১০ জুলাই তৃতীয় দফায় অভিযান চালিয়ে সর্বশেষ চার কিশোর ও তাদের কোচকে গুহা থেকে বের করে আনা হয়। এর মধ্য দিয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটে। গুহা থেকে উদ্ধারের পর কিশোরদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
"