প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
মানুষের চেহারা দেখে মনের কথা বলে দেবে ক্যামেরা
সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার মধ্য দিয়ে জীবনের কোনো না কোনো সময় কাটেনি দুনিয়ায় এমন মানুষ খুব কমই আছেন। মনের এই টানাপড়েন চেহারায় ছাপ ফেলে, তা ধরতে পারে ক্যামেরা। এ যেন সেই কথা- ‘মুখ যে মনের কথা বলে।’ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাফেক্টিভার দাবি, তাদের অ্যালগরিদম কারো চেহারার অভিব্যক্তি দেখে বলে দেবে তিনি কেমন আছেন। চেহারায় কোন কথা লুকানো আছে, তা জানিয়ে দেবে ক্যামেরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি দিনে দিনে আরো আধুনিক হচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তারা আবেগ পড়তে পারে এবং সন্দেহজনক আচরণ শনাক্ত করতে পারে। প্রযুক্তিবিদদের মতে, চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটেছে গত এক দশকে। কল্পনাশক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বিকাশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। এ প্রযুক্তি এখন সীমান্তে কাউকে শনাক্ত করা, স্মার্টফোন আনলক করা, অপরাধের স্থান শনাক্ত করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, তারা মানুষের আবেগ পরিস্থিতিও জানাতে পারে। বাজার গবেষণা সংস্থা কান্টার মিলওয়ার্ড ব্রাউন মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাফেক্টিভার সহায়তায় টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন দেখে ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া যাচাই করে।
অনুমতি নিয়ে অ্যাফেক্টিভা কিছু মানুষের মুখ ভিডিও করে। এরপর কোডের মাধ্যমে মুখের বিভিন্ন ভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন ফ্রেমে সাজিয়ে মানসিক অবস্থা পর্যালোচনা করে।
যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান উইসি দাবি করেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সাধারণভাবে ধরা পড়ে না, চোখের এমন অব্যক্ত ভাষা শনাক্ত করে সন্দেহজনক আচরণের ব্যাপারটি ধরতে পারে। উইসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড ফুলটন বলেন, ‘নিম্নমানের ভিডিও চিত্র ব্যবহার করেও আমাদের প্রযুক্তি একজন ব্যক্তির মনের অবস্থা, তাদের অভিব্যক্তি, ভাবভঙ্গি ও নড়াচড়া থেকে ধরতে পারে।
কাজটি ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ নিখুঁত হয়।
চেহারা শনাক্তকরণের গবেষণায় যুক্ত মার্কিন ফেডারেল সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজির বায়োমেট্রিক টেস্টিংয়ের প্রধান প্যাট্রিক গ্রোথারের মতে, প্রযুক্তি আরো নির্ভরযোগ্য হচ্ছে। তিনি বলেন, এই অ্যালগরিদমগুলো কম্পিউটারে ভিন্ন স্কেল ও অ্যাঙ্গেল থেকে ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে। এতে আরো যথাযথভাবে চেহারা শনাক্ত করা যায়। কারো চেহারা সানগ্লাস ও স্কার্ফের কারণে কিছু অংশ ঢেকে থাকলেও তা শনাক্ত করা যায়। এতে মানুষের মনের কথা অনেকাংশেই বোঝা যায়।
"