প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৭ জুলাই, ২০১৮

‘অপহরণকারীকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছিলাম’

যুক্তরাজ্যের মডেল ক্লোয়ি এইলিংকে গত বছর ইটালিতে অপহরণ করে ছয় দিন আটকে রাখা হয়। কিন্তু যখন তিনি মুক্তি পেয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসেন, অনেকেই তার বর্ণনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। ভিক্টোরিয়া ডার্বিশায়ারকে তিনি বর্ণনা করেছিলেন কীভাবে তিনি মুক্তি পেয়েছেন আর কীভাবে তাকে সন্দেহ করা মানুষজনের সঙ্গে তিনি মানিয়ে নিয়েছেন। বিবিসি গতকাল সোমবার এ কথা জানায়।

দুই দিন ধরে একটি স্যুটকেসের মধ্যে শিকলে আটকে থাকার পর, ক্লোয়ি এইলিং তার অপহরণকারীর সঙ্গে বিছানায় একসঙ্গে শুতে রাজি হন। ‘যতই আমরা কথাবার্তা বলতে শুরু করলাম, যতই আমাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করল, যখন আমি বুঝতে শুরু করলাম সে আমাকে পছন্দ করছে, তখনি আমি জানতাম, আমাকে এর সুযোগ নিতে হবে।’ বলেছেন ক্লোয়ি এইলিং। দক্ষিণ লন্ডনের বাসিন্দা ২০ বছরের ক্লোয়ি এইলিং জানান, ফটোশুট করা হবে, লুকায হের্বা নামের একজনের আমন্ত্রণে তিনি গত বছরের জুলাই মাসে ইটালির মিলান শহরে যান। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তাকে মাদক ইনজেকশন দেওয়া হয়, কাপড় চোপড় খুলে ফেলা হয় আর হাত বেঁধে গাড়ির বুটে ভরে প্রত্যন্ত একটি ফার্ম হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়।

এইলিং বলেছেন, এটা ছিল অত্যন্ত ভীতিকর। ওই ফার্ম হাউসে যাওয়ার পর হের্বা নামের তার অপহরণকারী তাকে জানায়, তিন লাখ ইউরো না দেওয়া হলে তাকে যৌনদাসী হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হবে। তবে সেই অপহরণকারী এটাও জানতে চায় যে, সে এইলিংকে চুমু খেতে পারে কি না এবং তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব কি না। এইলিং বলেছেন, ‘আমি ভাবলাম, এটাই আমার এখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ।’ আমি তাকে বললাম যে, এটা ভবিষ্যতে হতে পারে, তখন সে খুবই উৎফুল্ল হয়ে যায় এবং সত্যিই ভাবতে শুরু করে যে, এ রকম কিছু হতে যাচ্ছে। এরপর অপহরণকারী তাকে ছেড়ে দেয় এবং নিজেই গাড়ি চালিয়ে মিলানে ব্রিটিশ কনস্যুলেটে পৌঁছে দেয়। এ অপহরণের অপরাধে গত জুন ১৬ বছর ৯ মাসের জেল হয়েছে পোল্যান্ডের নাগরিক হের্বার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist